জেলা প্রতিনিধি
০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম
টাঙ্গাইলের যমুনা রেল সেতুর পরীক্ষামূলক ট্রায়ালে একযোগে ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলল দুটি ট্রেন।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে সেতুর পূর্ব এবং পশ্চিম প্রান্ত থেকে ট্রেন দুটি একসঙ্গে রওনা হয়ে এই ঐতিহাসিক ট্রায়াল সম্পন্ন করে। পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল চলবে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত, এবং সফল ট্রায়াল শেষে ফেব্রুয়ারিতে সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আশা করা হচ্ছে।
এই পরীক্ষামূলক চলাচল সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এর আগে গত বছরের ২৬ নভেম্বর ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিতে সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে যমুনা রেল সেতু প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, অফিসিয়ালি রবিবার সকাল ৯টা থেকে সেতুর পূর্ব এবং পশ্চিম প্রান্ত থেকে একযোগে দু'টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করেছে। যা সোমবার পর্যন্ত চলবে।
তিনি আরও বলেন, দু'দিন পরীক্ষামূলক ট্রায়াল ট্রেন চলাচল সম্পন্ন হলে সেই রিপোর্ট রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর রেল মন্ত্রণালয় উদ্বোধনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তবে, আশা করছি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি অথবা শেষের দিকে যমুনা রেল সেতু উদ্বোধন হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে এর মেয়াদ ২ বছর বাড়ানো হয়। ফলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থায়ন এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে।

১৯৯৮ সালে যমুনা সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দিলে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়।
প্রতিনিধি/একেবি