বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০২ পিএম
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) প্রধান ফটকের দেওয়ালে জুলাই ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্লোগান ও চিকা স্লোগান মুছে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
![]()
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফুজ্জামান রাজীবের নির্দেশে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা মুছে ফেলেন বলে জানা যায়।
স্লোগান মুছে ফেলার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বশেমুরবিপ্রবি সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীদের আকা গ্রাফিতি মুছে দেওয়ার আগে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলা। প্রশাসন কীভাবে শিক্ষার্থীদের কথা না শুনেই মুছে দেওয়ার সাহস করে। আমরা এই ধরনের কাজের নিন্দা জানাই। আজকের মধ্যে আমাদের লেখা ও গ্রাফিতি যেভাবে ছিল সেভাবে না করে দিলে প্রশাসনকে এর জবাবদিহি করতে হবে।

এই বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের এমন কাজকে আমি নিন্দা জানাই। তারা কার এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এই কাজ করেছে তা স্পষ্ট করতে হবে। জুলাই ছাত্র আন্দোলনে এই লেখাগুলো আমাদের আন্দোলনের অন্যতম প্রতিচ্ছবি। এগুলো মুছে ফেলা মানে আন্দোলনের স্প্রিরিটকে নষ্ট করার পাঁয়তারা ছাড়া কিছু নয়। অচিরেই পূর্বের ন্যায় সব কিছু ঠিক করে দেওয়ার দাবি জানায়। একই সঙ্গে প্রশাসনের যারা এমন কাজ করার সাহস দেখিয়েছে তারা এটার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।

এই বিষয়ে প্রক্টর আরিফুজ্জামান রাজীব সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মুছে ফেলা হয়েছে। মূলত রং করার জন্য মোছা হয়েছে। মোছাটা ভুল হয়েছে। আমরা আজই আবার ঠিক করে দেব।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হিসেবে উপ-পরিচালক মো. মাহবুব আলম বলেন, আমি যতটুকু জানি মেইন গেট রং করার জন্য মোছা হয়েছে। গেটের কাজ এখনও শেষ হয়নি, অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার জন্য হয়ত এমনটা করা হতে পারে।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এস.এম. ইস্কান্দার আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন বা কোনো কাজের জন্য এটা মোছা হয়নি। আমরা এই বিষয়ে কিছু জানি না।
গ্রাফিতি মোছার বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক হোসেন উদ্দিন শেখরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রতিনিধি/এসএস