ঋণের চাপে দর্জি দোকানির আত্মহত্যা

একাধিক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে গিয়ে আরও ঋণে জর্জরিত হন আজগর বেপারী নামের এক দর্জি দোকানি। এরপর ঋণ থেকে মুক্ত হতে বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথ।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নের বাহের কুশিয়া গ্রামে নিহতের বাড়ির পাশের বাগানে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে নড়িয়া থানা পুলিশ।

নিহত আজগর বেপারী বাহের কুশিয়া গ্রামের মৃত কালাচান বেপারীর ছেলে। তিনি ঘড়িষার বাজারের একজন দর্জি দোকানি ছিলেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সংসারের অভাব দূর করতে দুই ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য কয়েকটি এনজিও থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন আজগর বেপারী। কিন্তু ছেলেদের অবৈধপথে বিদেশ পাঠাতে গিয়ে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর এনজিওর কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে আরও ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েন আজগর। শনিবার ৫০ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করার কথা থাকলেও সেই টাকা কোনোভাবেই জোগাড় করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নড়িয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আবির হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে আজগর বেপারী ঋণের চাপে ছিলেন। ঋণের বোঝা সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/ এমইউ