জেলা প্রতিনিধি
১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার রিনা বেগম (৩৮) নামের এক নারীর নামীয় ৬ শতক জমি ৩০ বছর পর দখলমুক্ত হয়। এরই পর উদ্ধার হওয়া এ জমিতে গাছের চারা রোপণ করেন রিনা বেগম। এরই মধ্যে এই বাগানের বেশ কিছু গাছ ভেঙে নষ্ট করেছে প্রতিপক্ষ হাবিজার রহমান গংরা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর বাজারের পশ্চিম পাশে পাকা রাস্তা সংলগ্ন বড় জামালপুর মৌজাস্থ এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ভুক্তভোগী রিনা বেগম।
বাদির অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বড় জামালপুর গ্রামের মৃত শরিয়ত উল্যা মণ্ডলের ছেলে হাবিজার রহমান ৩১০৮/৯৪ নম্বর হেবাবিল এওয়াজ দলিলমূলে তার ছেলে ফারুক মণ্ডল, শাহ আলম ও মেয়ে রিনা বেগমকে ৩৬ শকত জমি লিখে দেন। যার তফশিল বর্ণিত- বড় জামালপুর মৌজার জে.এল ৭৫, খতিয়ান ১৪, ১৬, ২৫৯, এস.এ দাগ ১২৭১, ১২৭২, ১২৭৪, ১২৭৫ এর মোট ৩৬ শতকের মধ্যে ৬ শতক জমি রিনা বেগমের নামে রয়েছে। এই দলিলের পর থেকে রিনা বেগমের নামীয় এই ৬ শতক জমি দখল পজিশন বুঝিয়ে না দিয়ে হাবিজার রহমান বিভিন্ন টালবাহনাসহ ভুয়া কারসাজি করতে থাকেন।
এ অবস্থার সৃষ্টি হলে গয়েশপুর গ্রামের রিনা বেগমের স্বামী আইয়ুব আলী ওই জমিটি উদ্ধারের জন্য আইনিভাবে এবং স্থানীয় সালিশ আয়োজন করেন। সেখানে অমান্য করেন হাবিজার রহমান। এতে করে উভয়পক্ষের বিরোধ চরমে ওঠে। এরই একপর্যায়ে গত ৪ ডিসেম্বর বুধবার সকালের দিকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় রিনা বেগমের নামীয় ৬ শতক জমি উদ্ধারসহ তাকে দখল পজিশন বের করে দেওয়া হয়। এদিনে জমিতে গাছের চারা রোপণ করে বাগান তৈরি করেন রিনা বেগম। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে হাবিজার রহমান গংরা বাগানের ১৯টি গাছ ভেঙে করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী রিনা বেগমের স্বামী আইয়ুব আলী বলেন, আমাদের গাছগুলো নষ্ট করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে হাবিজার রহমানেরা আমাকে ভয়ভীতিসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হাবিজার রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা তাকে পাওয়া যায়নি।
সাদুল্লাপুর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেয়াজুল ইসলাম বলেন, বাদি রিনা বেগমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রতিনিধি/এসএস