কুষ্টিয়ায় ট্রাফিক পুলিশকে মারধর করা সেই ২ নারী আটক

কুষ্টিয়ায় দায়িত্বরত অবস্থায় নাজমুল ইসলাম নামের এক ট্রাফিক পুলিশকে মারধরের ঘটনায় হামলাকারী দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধার দিকে কুষ্টিয়া শহর এলাকা থেকে ওই দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার আবু হানিফ লেনের আশরাফুল ইসলাম মতিনের  স্ত্রী সোহানা ইসলাম রোজা। এবং হাউজিং ডি-ব্লক এলাকার রিপন আলীর স্ত্রী সানজিদা আক্তার শান্তা।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিয়াবুর রহমান শিহাব আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে কোর্ট স্টেশন মসজিদের সামনের মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল নাজমুল ইসলাম। তখন স্টেশনে ট্রেনের সিগন্যাল পড়ে। ওই দুই নারী একটি বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। এ সময় সড়কে অতিরিক্ত যানজট থাকায় রিকশায় থাকা দুই নারীর রিকশা আটকে দেন ট্রাফিক পুলিশের ওই কনস্টেবল। তবে তারা ট্রেনের সিগন্যাল উপেক্ষা করে জোরপূর্বক যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ কনস্টেবল। সেখান থেকেই তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।

স্থানীয় একটি ফার্মেসির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই দুই নারীর সঙ্গে থাকা শিশুকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে ট্রাফিক পুলিশের দিকে তেড়ে এসে প্রথমে একজন ধাক্কা দেয়। এরপর আরেকজন ট্রাফিক পুলিশের মুখে জুতা দিয়ে আঘাত করে। তারপর তাদের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা ঠেকালে ওই দুই নারী চলে যায়। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনাটি নিয়ে জেলা জুরে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেয়াবুর রহমান সিয়াব বলেন, ট্রেনের সিগন্যাল পড়েছিল, তবে ওই দুই নারী সিগন্যাল উপেক্ষা করে জোরপূর্বক যাওয়ার চেষ্টা করে। সেখানে ট্রফিক পুলিশ বাধা দিলে বাকবিতন্ডা হয়। পরে ওই দুই নারী পথচারী ঘুরে এসে ট্রাফিক পুলিশকে ধাক্কা দেয় এবং জুতা দিয়ে মারধর করে। এঘটনায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ওই দুই নারীকে আটক করা হয়েছে।

প্রতিনিধি/ এজে