জেলা প্রতিনিধি
২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ এএম
রাজশাহীতে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে নেওয়া কিস্তির (ঋণ) টাকা পরিশোধের টেনশনে আপন ভায়রাকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন অভিযুক্ত আসামি।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. রফিকুল আলম এমনটা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার বিদ্যুৎ মোড় এলাকার একটি আমবাগান থেকে আনিসুর রহমান (৪০) নামে এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আনিসুর রহমানের ভাই হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমার ভাই একজন সৎ মানুষ। তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় মনিগ্রাম বাজারে ছিলেন। এরপর রাতে বাড়ি ফেরেননি। আমরা অনেক খুঁজেও তাকে পাইনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর তদন্ত শুরু হয়। আনিসুরের ভায়রা রায়হান আলী তাকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। আর্থিক সম্যসায় বিভিন্ন সময় আনিসুরের কাছ থেকে টাকা ধার করতেন রায়হান। চার মাস আগে রায়হান ক্ষুদ্রঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠান ‘গাক’ নামের একটি এনজিও থেকে আনিসুর ও তার স্ত্রী পারভীনা বেগমের নামে ৯০ হাজার টাকা ঋণ তোলেন। কারণ ওই এনজিওতে তিনি নিজের নামে আগে থেকেই ঋণ নিয়ে রেখেছিলেন।
তাই দ্বিতীয় দফায় আনিসুরের মাধ্যমে ঋণের টাকা তোলেন। এরপর এনজিওর দুইটি কিস্তি বাবদ নয় হাজার টাকা দিতে গিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। এরমধ্যে বুধবার (২০ নভেম্বর) আবার পারভীনা বেগম পাঁচ হাজার টাকা ধার চান রায়হানের কাছে। এতে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. রফিকুল আলম বলেন, আনিসুর রহমানকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন রায়হান। এ ব্যাপারে বাঘা থানার আমলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন তিনি।
প্রতিনিধি/এসএস