জেলা প্রতিনিধি
২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম
সবজি উৎপাদনের জন্য সারাদেশে মধ্যে ঝিনাইদহ জেলার সুখ্যাতি রয়েছে। কিন্তু সবজির দাম নিয়ে চলছে রিতিমতো মগের মুল্লুক অবস্থা। দুই পা না ঘুরতেই সবজির পাইকারি দামের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ দামে চলছে খুচরা বিক্রি।
জেলার সদর উপজেলার ডাকবাংলা, হলিধানী, নগরবাথান, শহরের বড় হাটখোলা, শৈলকূপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ, ভাটইবাজার, শেখপাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ঘুরে দেখা যায় বাজারে কৃষকের খেত থেকে হাত বদলে ভোক্তা পর্যায়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
![]()
সেখানে দেখা যায়, পাইকারিতে পটল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৫ টাকা কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে ৬০ টাকা, ফুল কপি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা খুচরা বাজারে কপি ৯০ টাকা, পাইকারিতে বেগুন ৬৫-৮০ টাকা হলেও খুচরা ১০০-১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা পাইকারি হলেও একই খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, পুঁইশাকের ফল পাইকারিতে ৯০-১০০ টাকা হলেও খুচরা ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা হলেও একই বাজারে ৬০ টাকা খুচরা বিক্রি, পাইকারিতে লাউ ৫০ পিস হলেও খুচরা বাজারে দ্বিগুন প্রায় ১০০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে, টমেটো ৯০-১০০ টাকা কেজি পাইকারি অন্য দিকে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, শশা ৫০-৫৫ টাকা পাইকারি কিন্তু খুচরা ৬০ টাকা, কচু ৪০ টাকা পাইকারি ৫০ টাকা খুচরা, ওলকচু ৫০ টাকা পাইকারি হলেও খুচরা ৮০-১০০ টাকা, শিম ১৬০ পাইকারি হলেও শিম ১৮০ টাকা খুচরা, পেপে পাইকারি ২০-২৫ টাকা হলেও খুচরা ৩০-৩৫ টাকা, পুঁইশাক ১২-১৫ টাকা আটি পাইকারি হলেও খুচরা ২৫ টাকা আটি, লাল শাক ১০-১২ টাকা পাইকারি হলেও ২৫ টাকা আটি, পালং শাক ১৫ টাকা আটি পাইকারি হলেও খুচরা ২৫ টাকা, সুবজ শাকও একইবাবে বিক্রি হচ্ছে, মূলা ৪০ টাকা কেজি দরে পাইকারি কৃষক বিক্রয় করলেও ৬০ টাকা খুচরা বিক্রি হচ্ছে।
![]()
ডাকবাংলা বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফ মিয়া বলেন, চাহিদার চেয়ে বাজারে সবজি কম।
ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন বলেন, সবজি তিন থেকে চার হাত বদলে ভোক্তাদের কাছে পৌছে। এ কারণে কৃষকের দামের তুলনাই ভোক্তা বাজারে সবজির দামটা বেশি।
ডাকবাংলা বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী রবিউল বলেন, তারা সরাসরি বাজারে কৃষদের থেকে সবজি কেনেন এবং একই বাজারে বিক্রি করেন। তবে এভারেজ ৫-১০ টাকা করে কেজিতে লাভ করেন তারা।
খুচরা ব্যবসায়ী বাবলু জানান, ক্রেতারা বেঁছে বেঁছে সবজি কেনার পর শেষে গিয়ে আর প্রথম যে দামে বিক্রি করা হয় সেই দাম আর থাকে না।
![]()
ভাতুড়িয়া গ্রামের কৃষক মতিয়ার বলেন, বৃষ্টিতে সবজির খেত কিছু নষ্ট হয়ে গেছে, মাঠে সবজির উৎপাদন কম।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নূর-এ-নবি বলেন, এ বছর ঝিনাইদহ সদর উপজেলাতে ১ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। সবজির মধ্যে মূলা, পালংশাক, লালশাক, লাউ, শিম, করলা, পুইশাকসহ বিভিন্ন সবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এইসব সবজির খেত বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার আগাম সবজি চাষে সার ও কীটনাশক খরচও অনেক বেশি। যার কারণে সবজির বাজার একটু বেশি। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে হয়তো সবজির দাম স্বাভাবিক হবে।
প্রতিনিধি/এসএস