জেলা প্রতিনিধি
১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আজ শেষ হয়েছে।
মা দুর্গাকে বিদায় জানিয়েছেন ভক্তকূল। আর মর্ত্যে ‘বাবার বাড়ি’ বেড়ানো শেষে ঘোড়ায় চড়ে ‘কৈলাসে দেবালয়ে’ ফিরেছেন ‘আনন্দময়ী’ দেবী দুর্গা। মায়ের কাছে অশুর শক্তির বিনাশের প্রার্থনা করেছেন ভক্তরা।
![]()
দেবীর বিদায়ের আগে মণ্ডপে মণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন নারীরা। দেবী দুর্গার চরণের সিঁদুর নিয়ে নিজেদের রাঙিয়ে তোলেন তারা।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছিল। ভক্তের জন্য অভয় বার্তা নিয়ে এসেছিলেন দুর্গতিনাশিনী। মহাশক্তির সেই দেবী দুর্গা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ‘কৈলাসে দেবালয়ে’ ফিরলেন।
![]()
এবছর মহালয়ার মধ্য দিয়ে গত ২ অক্টোবর শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের ক্ষণগণনা ও আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর গত বুধবার ষষ্ঠী থেকে পাঁচ দিনের যে দুর্গোৎসব শুরু হয়েছিল। রোববার প্রতিমা বিসর্জনের এ আয়োজন মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
মাঝে বৃহস্পতিবার নবপত্রিকায় প্রবেশ ও স্থাপনে হয় মহাসপ্তমী। পরদিন শুক্রবার সকালে কুমারী পূজার পাশাপাশি মহাঅষ্টমীর বিহিত পূজা ও সন্ধিপূজা হয়। আর তিথির কারণে একই দিনে গতকাল শনিবার দুর্গোৎসবের মহানবমী ও দশমী পূজা হয়েছে। এরপর থেকে মায়ের বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে সেতাবগঞ্জ কলেজ পুকুরের স্নান ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বোচাগঞ্জে দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
![]()
ঢাকের বাদ্য আর গান-বাজনা ছাড়া বিদায়ের করুণ ছায়ায় সারিবদ্ধভাবে একে একে সেতাবগঞ্জ কলেজ পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমা।
বোচাগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, পূজা চলাকালীন মন্দিরের নিরাপত্তাসহ বিসর্জন পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তায় মুগ্ধ হয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক দল এবং সাংবাদিকদের প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
![]()
তিনি আরও বলেন, সেতাবগঞ্জ পৌরসভাসহ বোচাগঞ্জ উপজেলায় এ বছর মোট ৭১টি মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রতিনিধি/এসএস