জেলা প্রতিনিধি
১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৭ পিএম
কৈলাসে ফেরার দিনে ঢাক ঢোল, শাঁখ ও উলুধ্বনীর সঙ্গে ধুপের ধোঁয়ায় অশ্রুভেজা শ্রদ্ধাঞ্জলিতে দেবীদুর্গাকে বিদায় জানান মর্ত্যের ভক্তরা। দেবীদুর্গার কৈলাসে ফিরে যাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের মত সনাতন ধর্মালম্বিদের সবচেয়ে বড় পার্বণ শারদীয় দুর্গোৎসবের।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে সারাদেশের ন্যায় মৌলভীবাজার জেলার মণ্ডপে মণ্ডপে পূজা-অর্চনার পর নানা আয়োজনে বিসর্জন দেয়া হয় দেবীদুর্গার প্রতিমাকে। এই দিনেই আনন্দের মাঝে বাজতে শুরু করে বিসর্জনের বিষাদের সুর। অশ্রুশিক্ত চোখে ভক্তরা বিদায় জানান দেবীদুর্গাকে।
মৌলভীবাজার জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুপুর তিনটায় মনুনদের দক্ষিণ প্রান্তে পৌরশহরের পূজা মণ্ডপগুলোর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবীকে বিদায় জানানো হয়।
এদিকে জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে দেবীকে বিদায় দিতে সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় করেন সনাতন ভক্তরা। দেবীদুর্গার কাছে আগামী দিনের জন্য আশীর্বাদ চান ভক্তরা। শহরের পুজা মন্ডপ গুলোতে সিঁদুর দানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা।
কয়েকজন ভক্ত জানান, বিজয়া দশমী মানেই দেবীদুর্গা বিদায়ক্ষণ। আর এরই সঙ্গেই একরাশ মনখারাপের লগ্ন যেনো শুরু হয়। কিন্তু, এসবের মধ্যেও একটাই আশা। আসছে বছর আবার হবে। কৈলাস থেকে আবারও ফিরবেন দেবীদুর্গা।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশু রঞ্জন দাস বলেন, বিকেল ৩টা থেকে পৌরশহরে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিসহ সব মঙ্গল গ্রহণ ও অশুভকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।
কালীমন্দিরের পৌরহিত কন্দর্প নারায়ণ চক্রবর্তী জানান, অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবীদুর্গা। দেবীর বিদায়ে আনন্দের সঙ্গে যেনো যুক্ত হলো বিষাদের সুর। শেষবেলায় তাই দেবীর কাছে সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধির প্রার্থনা করছেন ভক্তরা।
সনাতনী পঞ্জিকা অনুযায়ী, ৯ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী—এই পাঁচদিন দেবীদুর্গাকে দেখতে মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।
প্রতিনিধি/একেবি