বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেছে। মৃত্যুর আড়াই মাস পর তার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বের হয়েছে। এতে বলা হয়েছে— পুলিশের শর্টগানের গুলির আঘাতে আবু সাঈদের গায়ে অসংখ্য ছিদ্র হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়েছে। মাথার মধ্যভাগ থেকে পশ্চাত ভাগ পর্যন্ত আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ফলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রমাণ করে যে এটি একটি হত্যাকাণ্ড।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমের হাতে আসা আবু সাঈদের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। রিপোর্ট বলছে— পুলিশের গুলির আঘাতে আবু সাঈদের গায়ে অসংখ্য ছিদ্র ছিল এবং মাথার মধ্যভাগ থেকে পশ্চাত ভাগ পর্যন্ত আঘাতের চিহ্ন ছিল।
ওই দিনের ঘটনার বর্ণনায় বলা হয়, আবু সাঈদের কানের ওপরের দিকে মাথার খুলিতে দৈর্ঘ্যে ৩ ইঞ্চি ও প্রস্থে দেড় ইঞ্চি আয়তনের গর্ত ছিল, যেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং রক্ত জমাট বাঁধা ছিল। এছাড়া বুক, পেটহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ছোট ছোট রাবার বুলেটের গর্ত ছিল। সেখান থেকেও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। মাথার আঘাত, শরীরের রক্তক্ষরণের কারণে আবু সাঈদ শকে চলে যায়। এতে তার মৃত্যু হয়।
গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটকের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ।
আবু সাইদের আইনজীবী বলেন, প্রথমত. মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন বিদ্যামান ছিল, দ্বিতীয়ত. শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তাই বলা যায় এটি হত্যাকাণ্ড। এই রিপোর্টের মাধ্যমে কোনোভাবেই শ্রেণিভুক্ত আসামিরা ছাড় পেতে পারবে না।
আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গত ১৭ জুলাই তাজহাট থানায় একটি মামলা করে। পরবর্তীতে ১৮ আগস্ট আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী আরেকটি মামলা করেন। দুটি মামলাই তদন্ত করছে পিবিআই।
প্রতিনিধি/একেবি