জেলা প্রতিনিধি
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ পিএম
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় নিখোঁজের দুদিন পর ইয়ানুর মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরের লাশ পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরিবারের দাবি- ইয়ানুরকে হত্যা করা হয়েছে। তার গলায় শ্বাস রোধের দাগ রয়েছে, জিহ্বা বের করা অবস্থায় রয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বড়খাপন গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ইয়ানুর ওই গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে।
এর আগে গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ইয়ানুর। নানা জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান মেলেনি। পরে শুক্রবার সকালে স্থানীয় লোকজন বাড়ি থেকে ৪-৫০০ গজ দূরে একটি পরিত্যক্ত পুকুরে পানিতে তার মরদেহ ভাসতে দেখেন। এসময় পুলিশকে খবর দিলে ইয়ানুরের লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ইয়ানুর মৃগী রোগী ছিল। পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে পরিবার ও স্বজনদের দাবি, ইয়ানুরকে হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। এখন কৌশলে ইয়ানুরকে মৃগী রোগী সাজাতে চাইছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তারা।
ইয়ানুরের ফুফু হালিমা বেগম জানান, ছোট থেকেই আমার কাছেই বড় হয়েছে। তার মৃগী রোগ থাকলে আমি তো অন্তত জানতাম। স্থানীয় প্রতিপক্ষের লোকজন ইয়ানুরকে হত্যা করে এখন মৃগী রোগী সাজাতে চাইছে। লাশ উদ্ধারের পর দেখেছি গলায় শ্বাসরোধের কালো দাগ রয়েছে। জিহ্বা ও চোখ বের হয়ে রয়েছে।
চাচা আলিমুল জানান, ইয়ানুরের গলায় কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধ করার দাগ রয়েছে। চোখ দুটো বের হয়ে রয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু হলে এমনটা থাকার কথা নয়। সে ছোটবেলা থেকেই বিলে মাছ ধরে জীবিত নির্বাহ করতো। মৃগী রোগী হলে সারাবছর পানিতে থাকতে পারতো না। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। আমরা এর বিচার চাই।
মামা মজনু মিয়া জানান, ইয়ানুরের বাবা সহজ সরল মানুষ। তাকে এলাকার কিছু মানুষ ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখতে চাইছে। এটাও বলানোর চেষ্টা করছে যে, তার ছেলে মৃগী রোগী। কিন্তু বাস্তবতা হলো এটা একটা পরিকল্পিত হত্যা।
কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ইয়ানুরের মৃগী রোগ ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পরে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস