images

সারাদেশ / শিক্ষা

বউয়ের চেইন বিক্রি করে চিকিৎসা চালাচ্ছেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরিফ 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ এএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হন মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ নামে এক যুবক (৩৫)। এই হাসপাতাল, সেই হাসপাতাল করতে করতে ২৯ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে অপারেশন করেন এক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায়। কিন্তু দরিদ্র পরিবার হওয়ার কারণে চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে না পেরে বউয়ের গলার চেন বিক্রি করে খরচ চালাচ্ছেন আরিফ। গতকাল রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে এসে ফেরার পথে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।

আরিফের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার পুরাতন রেলস্টেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি পাড়া এলাকায়। তিনি বক্তার আলীর ছেলে। আরিফ পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। ২০ জুলাই ঢাকার বাড্ডার শাহজাদপুর এলাকায় মিছিলে বের হলে বিজিবির ছোড়া গুলি তার বাম পায়ে লেগে হাড় ভেঙে বের হয়ে যায়। ভুক্তভোগী এ ব্যক্তির পরিবারে তার মা, স্ত্রী ও চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন: কবর থেকে উত্তোলন করা হলো নিহত শিক্ষার্থীর লাশ  

আরিফ বলেন, ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দেখে আমি নিজেও সেখানে কয়েক দিন যাই। আমি ১৭, ১৮, ১৯ জুলাই তারিখে আন্দোলনে যোগদান করি। কিন্তু ২০ জুলাই ঢাকার বাড্ডার শাহজাদপুর এলাকায় মিছিলে বের হলে বিজিবির ছোড়া গুলি আমার বাম পায়ে লেগে হাড় ভেঙে বের হয়ে যায়। তখন আমি সেখানে পড়ে যাই এবং ছাত্ররা পরে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে প্রায় ২৯ দিন থাকার পর আকিজ গ্রুপের সহায়তায় ১৯ আগস্ট অপারেশন করি। চিকিৎসার খরচ বহন করতে অনেকে হসপিটালে দুই-এক হাজার টাকা দিয়েছিল। শেষমেশ চিকিৎসার খরচ বহন করতে না পেরে আমার বউয়ের গলার চেন বিক্রি করে চিকিৎসা চালাচ্ছি। তবে এ টাকা আজ শেষ হলো। এরপর কীভাবে চিকিৎসায় টাকা খরচ করবো জানি না। ডাক্তাররা বলেছে যে ছয় মাস পর আবার অপারেশন করতে হবে। তবে আমাকে কেউ চিকিৎসার জন্য সহায়তা করলে, আমি সেটি গ্রহণ করব।

আরও পড়ুন: পান্নার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করল ভারত

আরিফের বড় ভাই আমিনুল ইসলাম বলেন, আরিফের আলাদা কোনো আয়ের উৎস নেই, এখন চিকিৎসার খরচ আল্লাহ যেভাবে চালাবে সেভাবে চলবে। এ সময় তিনি সবার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন।

প্রতিনিধি/ এমইউ