জেলা প্রতিনিধি
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২২ এএম
কলেজছাত্র দীপ্ত দে হত্যার ঘটনায় মাদারীপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও শাজাহান খানসহ ৩২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আরও পড়ুন: ‘গালি’ দেওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
শুনানি শেষে বিচারক হুমায়ুন কবির মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি নথিভুক্ত করতে নির্দেশ দেন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত দীপ্ত দে (২২) মাদারীপুর শহরের মাস্টার কলোনির স্বপন দের ছেলে। তিনি মাদারীপুর সরকারি কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিপজলকে হত্যার দায়ে হাসিনার নামে মামলা
এছাড়াও মামলায় মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূর-ই আলম লিটন চৌধুরী, মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান, মাদারীপুর-৩ আসন ও ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ রয়েছেন। এছাড়াও মাদারীপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরী, মাদারীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ওবাইদুর রহমান খান, সাবেক চেয়ারম্যান আসিবুর রহমান খান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন অনিকসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। মামলায় আরও ২০০-৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শহরের শকুনি লেক এলাকায় এলে আসামিরা মাদারীপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী দীপ্তকে গুলি করে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে লেকের পানিতে পড়ে যান তিনি। ওই দিন দুপুরে শকুনি লেক থেকে দীপ্তর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় শেখ হাসিনাসহ ৩২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মাদারীপুর শহরের পানিছত্র এলাকার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামলার বাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছি, তাদের রক্তের দাম দেওয়ার জন্যেই মামলা করেছি। আশা রাখি, মামলায় আমরা ন্যায়বিচার পাবো।
প্রতিনিধি/ এমইউ