images

সারাদেশ

‘গালি’ দেওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা

জেলা প্রতিনিধি

০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ এএম

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে গালি দেওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রেজওয়ানুল হকের নামে ১০ কোটি টাকা মানহানির মামলা হয়েছে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (উলিপুর আমলি আদালত) মামলাটি করেন জেলার উলিপুর উপজেলা বিএনপির কার্যকরী কমিটির সদস্য ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মঞ্জুরুল কাদের মমিনুল।

আরও পড়ুন: ডিপজলকে হত্যার দায়ে হাসিনার নামে মামলা

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উলিপুর থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী নজরুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আবেদনে বাদী দাবি করেছেন, উলিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ইউএলও) ডা. রেজওয়ানুল হক একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ নির্দেশে আওয়ামী লীগের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। ২০২৪ সালের ১৫ মে উলিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বাদী মঞ্জুরুল কাদের মমিনুল উপস্থিত ছিলেন। তিনি (মমিনুল) বিএনপি দলীয় হওয়ায় ইউএলও ডা. মো. রেজওয়ানুল হক তাকে ও বিএনপিকে উদ্দেশ করে গালিগালাজ করেন।

আরও পড়ুন: সিলেটে শেখ হাসিনা, রেহানা ও কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা

গালিগালাজের কারণ জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়াকেও গালিগালাজ করেন। এমনকি বিএনপির সৃষ্টি নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেন। সভায় উপস্থিত ব্যক্তিদের সামনে এ ধরনের গালিগালাজের ঘটনায় সমাজে বাদী এবং তার দলের নেতা জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার যথেষ্ট মান-সম্মানের ক্ষতি হয়েছে, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় ১০ কোটি টাকাতেও পূরণ করা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় মামলা গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী।

বাদীর আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আদালত মামলাটি গ্রহণ করে উলিপুর থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন।’

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাবেক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমান দুলু বলেন, ‘আদালত মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত যেহেতু মামলাটি সরাসরি আমলে নেননি, সেহেতু অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা থাকতে পারে, আবার নাও থাকতে পারে। সাবজুডিস ম্যাটার হওয়ায় মন্তব্য করা সমীচীন নয়।’

প্রতিনিধি/ এমইউ