images

সারাদেশ

রাজবাড়ীতে উদ্ধার হওয়া গলাকাটা লাশের পরিচয় মিলেছে 

জেলা প্রতিনিধি

৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৬:০০ পিএম

রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা সেই গলাকাটা লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ।

নিহতের নাম আলমগীর কবির। এনআইডি কার্ডের জন্ম তারিখ অনুযায়ী তার বয়স ৫২ বছর। তিনি পেশায় বিকাশের এজেন্ট ছিলেন। তিনি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ধুতরাহাটি গ্রামের মৃত আবুল কালাম মোল্লার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার ভোরে কয়েকজন পথচারী গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা (মওনা) এলাকায় রাস্তার পাশে জঙ্গলে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ পরে থাকতে দেখেন। মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে না পেরে তারা গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশে খবর দেন। পরে সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অজ্ঞাত ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত আলমগীর কবিরের চাচা মো. শাজাহান মুন্সি বলেন, ‘আলমগীর তাদের এলাকায় রসূলপুর বাজারে বিকাশ এজেন্টের দোকান করতেন। তার ১০ বছর ও এক বছর বয়সী দুই মেয়ে এবং তিন বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। রসূলপুর এলাকায় ঘরজামাই থাকতো গোয়ালন্দের হারুন নামে এক ব্যক্তি। হারুন আলমগীরকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব দেন এবং তার কাছ থেকে কিছু টাকাও নেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে আলমগীর বিদেশের ব্যাপারে টাকা-পয়সা জমা দেয়া ও মেডিকেল করার জন্য হারুনের সঙ্গে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরে শনিবার বেলা ১১টার দিকে আমরা খবর পাই যে, গোয়ালন্দে আলমগীরের মরদেহ পাওয়া গেছে।’

আলমগীরের চাচাতো ভাই রাকিবুল হাসান বলেন, ‘আমার ভাই অনেক টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। এ ছাড়া তার মোবাইলে বিকাশেও অনেক টাকা ছিল। ঠিক কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা আমরা এখনই বলতে পারছি না। তবে তাকে হত্যা করে টাকা-পয়সা ও চারটি মোবাইল লুট করা হয়েছে।’

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, মরদেহ উদ্ধার করে পরিচয় শনাক্তের জন্য সিআইডিকে খবর দিলে তারা ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করে। নিহত ওই ব্যক্তির পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, হত্যার শিকার ওই যুবক বিকাশের এজেন্ট ছিলেন। তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে এখনি বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। তার পরিবারের সদস্যরা মামলা করবেন। আশাকরছি খুব দ্রুতই হত্যার কারণ উদঘাটন ও আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

প্রতিনিধি/একেবি