বাড়ছে পদ্মার পানি, ঘর-বাড়ি সরাচ্ছেন চরাঞ্চলের বাসিন্দারা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভয়ংকর আগ্রাসী হয়ে উঠছে পদ্মা নদী। সারা বছর পদ্মায় ভাঙন আতঙ্ক থাকলেও বর্তমানে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে রাতেও ঘুম নেই নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের। ঝুঁকিতে রয়েছে, হাজার হাজার হেক্টর আবাদি জমি, সরকারি স্থাপনা ও ঘরবাড়ি। 

সরজমিনে রাতে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙনের ভয়ে সারারাত ধরে ঘর-বাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন নদীরতীরের বাসিন্দারা। এমনকি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীদের সহযোগিতা চাইছেন ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ।

পাঁকা ইউনিয়নের বাসিন্দা আলামিন  আলী বলেন, এশার নামাজের পর থেকেই ভাঙন শুরু হয়েছে। তখন থেকেই আমরা বাড়ির জিনিসপত্র নিরাপদস্থানে সরিয়ে নিচ্ছি। প্রতিবছর আমরা এসময়ে এসে এই সমস্যায় পড়ি আমাদের দিকে দেখার কেউ নেই। আমাদের অন্য কোথায় জমি নেই। এখন আমরা কোথায় যাব। কি খাব?

আব্দুল রাজ্জাক নামে আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমার গত রাতে বাড়ি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। আমার এখন  রাত কাটানোও কোনো স্থান নেই। তাই আমরা আসবাবপত্র বাঁচাতে রাতভর কাজ করছি। এখন পর্যন্ত আমাদের গ্রামে অন্তত ১০ থেকে ২০টি বাড়ি নদীতে বিলিন হয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের জোর  দাবি এই ভাঙন রোধে ব্যাবস্থা নেওয়া হোক।

শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বোগলাউড়ি গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল  বলেন, আমাদের গ্রামের কয়েকটি বাড়ি নদীতে তলিয়ে গেছে। আর ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছেন আরও কয়েকটি বাড়ি। গত রাত থেকে হঠাৎ এসব স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসী এসব বাড়ির মালামাল উদ্ধার করেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. ময়েজ উদ্দিন বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মায় পানি বেড়েছে। ফারাক্কা ব্যারেজের পর ভারত থেকে পদ্মা নদী চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাংখা পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তিনি আরও বলেন, এখনও পানির স্তর বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

প্রতিনিধি/এসএস