অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিশু খাদিজাকে উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ৪ বছরে শিশু খাদিজা আক্তারকে অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিনাজপুর থেকে র‌্যাব ও সেনাবাহিনির যৌথ অভিযানে উদ্ধারসহ ২ অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জ র‌্যাবের সিপিসি-৩ এর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরিফ হোসেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার জয়রা এলাকা থেকে খাদিজা আক্তারকে অপহরণ করা হয়।

শিশু খাদিজা আক্তার মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার চর-তিল্লি গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে। খাদিজার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে সদর উপজেলার জয়রা এলাকার সাইজুদ্দিন এর বাড়ির ভাড়াটিয়া।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চর-হিজুলী গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের মেয়ে আফরিন রেশমা (২২) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার মৃত শরীফুল ইসলামের মেয়ে ঝুমুর (৩৮)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, আফরিন রেশমা ও ঝুমুর এরা মানবপাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে শিশুদের টার্গেট করে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শিশু খাদিজাদের বাসার পাশের বাসা ভাড়া নিয়ে ৩ মাস ধরে বসবাস করতে থাকে। এই সময়ের মধ্যে খাদিজার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে যখন খাদিজার পরিবারের সবাই বাইরে যায়। একা পেয়ে অপহরণকারীরা সুকৌশলে খাদিজাকে আপহরণ করে এবং বাসা থেকে একটি মোবাইলফোনসহ ১৭ হাজার টাকা নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে আফরিনের মা বাসায় এসে তার মেয়ে ও মোবাইল ফোন না দেখতে পেয়ে হারানো মোবাইলফোনে ফোন দেন। তখন ওপাশ থেকে ফোন ধরে তার মেয়েকে ফেরত  দেওয়ার জন্য মুক্তিপণ বাবদ দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। অন্যথায় আফরিনকে ভারতে পাচার করে দিবে বলে ফোন কেটে দেয়। এমতাবস্থায় আফরিনের মা কোনো উপয়ান্তর না পেয়ে সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

পরে এই অপহরণের ঘটনায় র‌্যাব ও সেনাবাহিনী তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানাধীন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়াডের পার্বতীপুর টু সৈয়দপুরগামী মাহাসড়ক এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশু খাদিজা আক্তারকে উদ্ধারসহ দুই অপহরণকারীকে আটক করে।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি স্বপন কুমার সরকার বলেন, রাতেই অপহরণকারীদের থানায় আনা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

প্রতিনিধি/এসএস