জেলা প্রতিনিধি
১৬ আগস্ট ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম
শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে শেরপুর জেলা কারাগারে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায় সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। গত ১১ আগস্ট জেলার (ভারপ্রাপ্ত) লিপি রানি সাহা বাদী হয়ে ১০ থেকে ১২ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) শেরপুর জেল সুপার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ভুয়া ডাক্তার ধরলো শিক্ষার্থীরা, এক মাসের কারাদণ্ড
কারা সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট বিকেলে কয়েক হাজার মানুষ দেশি অস্ত্র নিয়ে কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা বন্দীদের ওয়ার্ড ভেঙে তছনছ করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এতো সংখ্যক মানুষের হামলার মুখে কারারক্ষীরা অসহায় হয়ে পড়েন। এ সময় কারাগারের ৫১৮ জন বন্দী পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা কারাগারের ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র, চায়নিজ রাইফেলের ৮৬৪টি গুলি, শটগানের ৩৩৬টি গুলি ও কারাবন্দীদের জন্য মজুদ রাখা খাদ্যসামগ্রী আর টাকা লুট করে। সেই সঙ্গে কারাগারের প্রশাসনিক ভবনসহ মূল্যবান রেকর্ডপত্র, গাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
শেরপুর গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, কারা কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সংস্কারের প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এক কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। এর মধ্যে কিছু কাজ দ্রুত করে দেওয়া হবে। আবার কিছু কাজ করতে সময় লাগবে। কয়েদিদের থাকার সেলগুলো আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করা সম্ভব। তবে প্রশাসনিক ভবন, কারারক্ষীদের ব্যারাক, কারাধ্যক্ষের বাসভবন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেগুলোয় অন্তত ১৫ দিন সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: হাসিনা ও তার দোসরদের গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে: প্রিন্স
জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর খান বলেন, কারাগার সংস্কার করতে এক মাসের মতো সময় লাগার কথা জানিয়েছে গণপূর্ত। ওই ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় তিন কোটি টাকা। বেশ কিছু বন্দী ইতোমধ্যে আত্মসমর্পণের জন্য যোগাযোগ করছেন। তবে কারাগারে থাকা, খাওয়া ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ