জেলা প্রতিনিধি
১১ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৪৩ এএম
ফেনীতে কোটা আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী আবিদুল ইসলাম (১৮) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
সে দাগনভূঞা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আমানউল্লাপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এবং স্থানীয় দাগনভূঞা একাডেমির নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
আরও পড়ুন: শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ভাস্কর্য মেরামত সম্পন্ন
গত সোমবার সন্ধ্যায় সে নিজ গ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক নারী কর্মীকে মারধর করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়। চার দিন পর আজ শনিবার সকালে সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার লাশ বর্তমানে দাগনভূঞা থানা হেফাজতে নিয়ে রাখা হয়েছে। রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ফেনীর দাগনভূঞায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সুমাইয়া নামে একজন নারী কর্মী পরিবারসহ উপজেলার আমানুল্লাপুর গ্রামের নিজাম টাওয়ার নামে একটি বহুতল ভবনে ভাড়া থাকতো। গত সোমবার সে ওই ভাড়া বাড়ির ছাদে পতাকা উত্তোলন করে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে ৩ দিন পর কর্মস্থলে ফিরেছে পুলিশ
ভবন মালিক নিজাম উদ্দিন, তার ভাই জসিম উদ্দিন ও বাড়ির দারোয়ানসহ কয়েকজন ওই নারী কর্মীকে মারধর করে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অপর এক কর্মী আবিদুল ইসলামের বাবা, একই এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। বাবাকে মারধরের প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেও এলোপাথাড়ি পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।
তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার রাতেই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চার দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার সকালে সে মারা যায়। তার লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ জানতে পারে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ থানা হেফাজতে নিয়ে রাখা হয়েছে।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবুল হাসিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
প্রতিনিধি/ এমইউ