জেলা প্রতিনিধি
০১ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫৪ পিএম
বিয়ের আয়োজন সব কিছুই ঠিকঠাক। বর যাত্রীরাও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বউ নিয়ে আসার জন্য। ঠিক সে সময় বাড়িতে হাজির পুলিশ সদস্যের প্রেমিকা। প্রেমিকা বাড়িতে আসার দৃশ্য দেখে পালিয়ে যান প্রেমিক পুলিশ সদস্য। আর এতেই লণ্ডভণ্ড হয়ে সমস্ত আয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের মানকি নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রেমিল পুলিশ সদস্য ওই এলাকার আমির হামজার ছেলে রাসেল মাহমুদ। তিনি বর্তমানে নেত্রকোনা জেলার পুলিশ লাইন্স এ কর্মরত রয়েছে বলে জানা গেয়েছে। প্রেমিকা সুইটি আক্তারের বাড়ি মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েকদিন আগে গোপনে পুলিশ সদস্য রাসেল মাহমুদের বিয়ে ঠিক হয় মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার একটি মেয়ের সাথে। বিয়েতে ৮ লাখ টাকা যৌতুক ও ঠিকঠাক হয়। এরমধ্যে যৌতুকের কিছু টাকা ছেলের পরিবারকে দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার রাসেলের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়। বৃহস্পতিবার বরযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা। এর মধ্যেই প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হন প্রেমিকা সুইটি আক্তার। এতেই বিয়ের সকল আয়োজন মুহূর্তেই লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
প্রেমিকা সুইটি আক্তার বলেন,এক বছর দুই মাস ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্পর্ক চলাকালীন জামালপুর শহরে বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। রাসেল আমাদের বাড়িতে গিয়েছিল। আমার পরিবারের সবার সঙ্গেই পরিচিত। আমিও তাদের পরিবারের সবার সাথেই মোবাইলে অনেকবার কথা বলেছি। বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে দেখা করেছে বারবার। রাসেল কাল রাতে আমাকে ফোন দিয়ে বলে ওর বিয়ে ঠিক হয়েছে। আজ আমি ওর বাড়িতে আসলে সে পালিয়ে গিয়েছে। এখন আমাকে বিয়ে না করলে আমি এই বাড়িতেই আত্মহত্যা করব।
আরও পড়ুন
বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ
রাসেলের বাবা আমির হামজা বলেন, জোর করেই আমাদের বাড়িতে উঠেছে। তার সঙ্গে আমার ছেলের কোনো প্রেমের সম্পর্ক নাই।
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু আহম্মেদ জানান, এ ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সেখানে উভয় পক্ষের সঙ্গেই কথা বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
প্রতিনিধি/ এজে