images

সারাদেশ

আখাউড়া স্থলবন্দরে স্থবিরতা, রফতানি আয়ে ভাটা

জেলা প্রতিনিধি

২৫ জুলাই ২০২৪, ০৪:২২ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কারফিউসহ চলমান পরিস্থিতিতে স্থবিরতা বিরাজ করছে দেশের অন্যতম স্থলবন্দর আখাউড়াতে। রফতানি কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় এ বন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রফতানি কমেছে প্রায় অর্ধেকের চেয়েও বেশি। এতে কমেছে মোটা অঙ্কের রফতানি আয়। 

স্বাভাবিক সময়ে এই স্থলবন্দরের যে ইয়ার্ডে দেখা যেত পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপের ব্যস্ততা। সেখানে এখন কেবলই নীরবতা। কোটা আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে রফতানিমুখী এ বন্দরটি। 

আরও পড়ুন: দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে: নৌবাহিনী প্রধান

ইন্টারনেট পরিষেবায় বিভ্রাট ও দেশজুড়ে কারফিউর প্রভাবে অচলাবস্থা দেখা দেয় দেশের অন্যতম বৃহৎ এ বন্দরের রফতানি বাণিজ্যে। স্বাভাবিক সময়ে এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ ডলার মূল্যের হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট, প্লাস্টিক, ফার্নিচারসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০ ধরনের পণ্য ভারতে রফতানি হয়ে থাকে। তবে দেশজুড়ে কারফিউ ও চলমান অস্থিরতায় গেল পাঁচ দিনে নামমাত্র মাছ ও সিমেন্ট ছাড়া রফতানি করা যায়নি কিছুই। 

এছাড়া ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারণে অনলাইন ব্যবস্থা না থাকায় ২০ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ম্যানুয়ালি বিল অফ এ পোর্টের তথ্য লিপিবদ্ধের মাধ্যমে মাত্র ৫৩ টন মাছ ও ৭০ টন সিমেন্ট রফতানি করা হয়েছে। এসব থেকে রফতানি আয় হয়েছে প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা। 

বন্দরের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, টানা কয়েক দিনের অচলাবস্থায় আমাদের অনেক পণ্য রফতানি করতে পারিনি। হাতে গোনা কিছু মাছবাহী পিকআপ আসছে। সেগুলো রফতানি করা হয়েছে। দ্রুত দূরান্ত থেকে মালামাল আসতে পারছে না। ফলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব আয়।

আরও পড়ুন: রংপুরে নাশকতার ঘটনায় ৮ মামলা, গ্রেফতার শতাধিক

আখাউড়া স্থল বন্দরের সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি হাসিবুল হাসান বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে পণ্য বন্দরে পৌঁছতে না পারায় মাছ ব্যতীত অন্য কোনো পণ্য রফতানি হচ্ছে না। এতে রফতানিকারকসহ সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসায়ী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। 

আখাউড়া স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) মো. ইমরান হোসেন বলেন, বন্দরে পণ্য পৌঁছলে তা রফতানিতে কোনো বাধা নেই। ইন্টারনেট বিভ্রাটকালীন সময়ে ম্যানুয়াল বিলিং পদ্ধতিতে বন্দরে আসা পণ্য ভারতে রফতানি করা হয়েছে। আমরা আশা করি যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে পুরনো রূপে ফিরবে বন্দরের কার্যক্রম। 

প্রতিনিধি/ এমইউ