images

সারাদেশ

উন্মুক্ত জলাশয়ে হাঁস পালনে ভাগ্যবদল রবিউলের

জেলা প্রতিনিধি

০৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম

তরুণ উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম (৩৫)। নিভৃত গ্রামাঞ্চলে বসবাস তার। এক সময়ে ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়’ অবস্থা ছিল রবিউলের। আর এই দারিদ্রের কষাঘাত থেকে রেহাই পেতে শুরু করেন হাঁস পালন। উন্মুক্ত জলাশয়ে হাঁস পালন করে এখন দিনবদল হয়েছে রবিউলের।  
 
সম্প্রতি সরেজমিনে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বড় ছত্রগাছা হাতিছালা বিলে দেখা যায় - রবিউল ইসলামের পালিত সহস্রাধিক হাঁস দলবেঁধে ভাসছে।

আরও পড়ুন: সাদুল্লাপুরে প্রশিক্ষণ পেলেন ৫০ কৃষক 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড় ছত্রগাছা গ্রামের নজমাল হোসেন ব্যাপারীর ছেলে রবিউল ইসলামের দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। এই সংসার চালাতে অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছিল তাকে। একপর্যায়ে স্থানীয় কয়েকটি হাঁসের খামার দেখতে যান তিনি। 

সেখানকার নিয়ম অনুসরণ করে তিন বছর আগে সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা থেকে খাকিক্যাম্বেল জাতের ৫০০ পিস হাঁসের বাচ্ছা কিনে বাড়িতে পালতে শুরু করেন রবিউল। এরপর তিনি লাভের মুখ দেখেন। তখন থেকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। হাঁস বিক্রির লাভের টাকা দিয়েই সুখে-শান্তিতে চলছে তার সংসার।

উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম জানান, প্রশিক্ষণ ছাড়াই হাঁসের খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম আর দৃঢ মনোবল নিয়ে খামারটি পরিচালনা করছেন। হাঁসের বাচ্ছা কিনে তা বড় করেন। ঠিক তিন মাস পর ওই হাঁসগুলো বিক্রি করেন তিনি। এতে করে খরচ বাদে মাসে লাখ টাকা আয় হয়।

আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মারা গেল ১২ গবাদিপশু

তিনি আরও বলেন, এক সময়ে স্ত্রী-সন্তানের ঠিকভাবে ভরণ-পোষণ দিতে পারতেন না তিনি। এখন হাঁসের খামার করে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। দেশের সিলেট, চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার ডিম উৎপাদনকারী খামারিরা হাঁসগুলো কিনে নিয়ে যায়। 
 
সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, যেকোনো কাজ পরিকল্পিতভাবে করলে অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব। উদ্যোক্তা রবিউল ইসলামকে লাভবান করতে সহযোগিতা করা হচ্ছে।   

প্রতিনিধি/ এমইউ