images

সারাদেশ

খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস, ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে যোগাযোগ বন্ধ

জেলা প্রতিনিধি

০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৭ এএম

ভারী বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির আলুটিলার সাপমারায় পাহাড় ধসে পড়েছে। এতে আটকা পড়েছে বহু যানবাহন। এদিকে, ঢাকা-খাগড়াছড়ি ও ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আজ ভোরে সাপমারা এলাকায় পাহাড়ের মাটি ধসে যাওয়ায় পর এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কের মাটি সরানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।

অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়ক তলিয়ে গেছে। এ কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে জেলায় ভারী শুরু হয়। সড়কে পানি জমে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বৃষ্টির পানিতে সকাল থেকে মহালছড়ির চব্বিশ মাইল সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এছাড়া দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেডকোয়াটার এলাকায় সড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। এ কারণে রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।

সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গেও খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পাহাড়ি ঢলে সাজেক-খাগড়াছড়ি সড়কের বাঘাইহাট বাজার, মাচালং বাজারসহ  একাধিক স্থানে সড়কের ওপরে পানি উঠে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পর্যটকবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাজেকে আটকা পড়েছেন শতাধিক পর্যটক।

জেলার পাহাড়গুলোর পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার সকাল থেকে জেলা সদরের শালবন, মোহাম্মদপুর, সবুজবাগ ও কুমিল্লা টিলা এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন জনপ্রতিনিধিরা।

 

পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো. জসিমউদ্দীন বলেন, সাপমারা এলাকায় সড়কের মাটি সরানোর কাজ চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ি চলাচলের উপযোগী হবে। তবে আলুটিলা সড়কের আরও কিছু স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। খাগড়াছড়িতে বৃষ্টি চলমান। বৃষ্টি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তলিয়ে যাওয়া সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে না। এছাড়া অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জেলার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হচ্ছে। বসতবাড়িতেও প্রবেশ করছে পানি।

টিবি