images

সারাদেশ / শিক্ষা

স্বামীর বাড়িতে রাবি ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

২৩ জুন ২০২৪, ০২:০৭ পিএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৯ জুন) নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের ফতেপুর ইউনিয়নের বগাদী এলাকায় তার শ্বশুরবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন সকালে খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠান।

সাদিয়া আক্তার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি স্থানীয় হাইজাদী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া এলাকার ফায়েজ ভূঁইয়ার মেয়ে।

মৃতের বাবা ফায়েজ ভূঁইয়া বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ দিচ্ছে কিন্তু এসে দেখি তার হাত ও গলাতে অনেক মারের আঘাত এবং তার ঘরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করা। আমি মৃত্যুর আসল কারণ জেনে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে স্থানীয় ফতেপুর ইউনিয়নের বগাদী এলাকার আব্দুর রবের ছেলে আজিজুল ইসলামের (ফুফাতো ভাই) সঙ্গে বিয়ে হয়। আজিজুল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম আবর্তনের ম্যানেজমেন্ট বিভাগ শিক্ষার্থী ছিলেন। বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি খোদেজা বেগম সাদিয়ার ওপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিল। স্বামী আজিজুল একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করার সুবাদে বিভিন্ন এলাকায় থাকতেন। এ কারণে সাদিয়া অধিকাংশ সময় বাবার বাড়িতেই থাকতেন। এরই মধ্যে তাদের দাম্পত্য জীবনে সাফুয়ান নামে ৯ মাসের একটি সন্তান রয়েছে। তবে এ ঘটনার পর থেকে সাদিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন গা-ঢাকা দিয়েছেন।

আড়াইহাজার থানার অফিসার্স ইনচার্জ আহসানউল্যাহ জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি কাজী রবিউল আলম বলেন, সাদিয়া আক্তারের মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত। সে অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। স্নাতক প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় সিজিপিএ ৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল। পরে কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। কিছুদিন পর খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তার বিয়ে হয়ে গেছে। একজন শিক্ষার্থীর এমন অকালমৃত্যু কখনোই কাম্য নয়। বিভাগের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী সাদিয়ার মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

প্রতিনিধি/টিবি