images

সারাদেশ

বেনজীরের রিসোর্টে চুরির সময় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ জুন ২০২৪, ০২:০৪ পিএম

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ মালিকানাধীন গোপালগঞ্জের ক্রোক সম্পত্তি সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের মাছ গভীর রাতে চুরির সময় প্রায় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসময় জব্দকৃত মাছ বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকা জমা দেওয়া হয়।

শনিবার (৮ জুন) ভোর ৫টার দিকে চুরির সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুদকের গোপালগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয় অভিযান পরিচালনা করে ওই মাছ জব্দ করে। দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।

গোপালগঞ্জ সদর থানায় হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন সোহেল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ক্রোক ও ফ্রিজকৃত সম্পদের রিসিভার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় ক্রোককৃত সম্পত্তির মধ্যে রিসোর্টের অভ্যন্তরে পুকুরের মাছসহ বিভিন্ন সম্পদ চুরি করছেন মর্মে গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায়। বিষয়টি দুদককে অবহিত হলে গোপালগঞ্জের দুদকের একটি টিম রিসোর্টে সরেজমিন তদন্তে রিসোর্টের অভ্যন্তরের ২০ একরের পুকুরে মাছ ধরা দেখতে পায়।

এই কর্মকর্তা বলেন, মাছ জব্দ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জব্দকৃত মাছের মধ্যে ৫৫৫ কেজি তেলাপিয়া মাছ ও ৩৭.৫০ কেজি কাতলা মাছ রয়েছে।

গোপালগঞ্জ দুদক অফিস সূত্রে জানা যায়, দুদক টিম আসার খবর পেয়ে আসামিসহ সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে যায়। মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, উক্ত রিসোর্টের মৎস্য হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের নির্দেশে তারা মাছ ধরছেন। মাছ পচনশীল হওয়ায় সেখানে উপস্থিত গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে জব্দ মাছ উপস্থিত মৎস্যজীবীদের মধ্যে নিলামে বিক্রি করে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকা সরকারি খাতে জমা দেওয়া হয়েছে।

সাভানা ইকো রিসোর্ট প্রা. লিমিটেডের মৎস্য হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামকে আসামি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা জানা যায়।

এমএইচটি