images

সারাদেশ

কলেজ শিক্ষককে পেটালেন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী

জেলা প্রতিনিধি

২৭ মে ২০২৪, ০৬:২২ পিএম

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত দীপু রঞ্জন দাসের হাতে শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রূপচাঁন দাস লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সোমবার (২৭ মে) শাল্লা ডিগ্রি কলেজে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হন ছাত্র-শিক্ষকরা। সভায় সিদ্ধান্ত হয় দীপু রঞ্জন দাসকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার শাল্লা উপজেলা সদরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করবেন তারা।

উপজেলা সদরের ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারে উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ মার্কেটের সামনে গতকাল রোববার (২৬ মে) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে বলে বাজার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। এসময় সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দীপু রঞ্জন দাস ও তার দোকানের কর্মচারী অনিক দাস প্রভাষক রূপচাঁন দাসকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এতে তিনি রক্তাক্ত হন। রাতে এই ঘটনা জানাজানি হলে নিন্দার ঝড় ওঠে উপজেলা সদরজুড়ে।

প্রফেসর রূপচাঁন দাস বলেন, আমি শাল্লা থানা থেকে কলেজে আসার পথে দীপু রঞ্জন দাসের ডিজেলের দোকানের সামনে আসা মাত্রই তার দোকান কর্মচারী অনিক দাস আমার রাস্তা অবরোধ করে। সাথে সাথে দীপু রঞ্জন দাসও পাশের হুমায়ূন মিয়ার দোকান থেকে বের হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে আক্রমণ করেন। তারা আমার হাতের কনুইয়ে ও পায়ের হাঁটুতে রক্তাক্ত জখম করে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী উজ্জ্বল মিয়ার দোকানের ম্যানেজার গৌরচাঁদ দাস বলেন, দীপু রঞ্জন দাস তার হাতে থাকা ছাতা দিয়ে রূপচাঁন দাসকে মারপিট করেন। ওইসময় আমিসহ আরও লোকজন তাদের ফিরিয়ে দিয়েছি।

আরও পড়ুন

নরসিংদীতে প্রতিপক্ষের হামলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত

মাদারীপুরে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থককে হাতুড়িপেটা

স্থানীয় বাহারা (সদর) ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টু বলেন, এই ঘটনায় সবাই ক্ষুব্ধ মর্মাহত হয়েছেন। নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা নেই আমাদের। মঙ্গলবার এ নিয়ে মানববন্ধন করবেন ছাত্র-শিক্ষক জনতা। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না পেলে পরবর্তী কর্মসূচিও দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

শাল্লা কলেজরে সহকারী অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস বলেন, ঘটনাটি নিন্দনীয়, ক্ষমার অযোগ্য। ছাত্র-শিক্ষকরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিলেন। আবহাওয়া খারাপ থাকায় করা যায়নি। মঙ্গলবার প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে।

দীপু রঞ্জন দাসের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য জানা যায়নি।

শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, অ্যাডভোকেট দীপু রঞ্জন দাসের দোকানের কর্মচারীর সাথে কথা কাটাকাটি ও মারামারির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, দীপু রঞ্জন দাস শাল্লা উপজেলা পরিষদের বিগত মেয়াদের ভাইস চেয়ারম্যান। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হলেও উল্লেখ করার মতো ভোট পাননি তিনি। ভোটের পর থেকেই ক্ষুব্ধ দীপু অনেকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

প্রতিনিধি/জেবি