জেলা প্রতিনিধি
২৬ মে ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে সব নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
রোববার (২৬ মে) দুপুরের জোয়ারে নদীর পানি বাড়ায় তীরবর্তী বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল ও লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
ইতিমধ্যে জোয়ারের পানিতে জেলার ইন্দুরকানী,বড় মাছুমিয়া, মঠবাড়িয়াসহ নিম্মঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া উঁচু এলাকাগুলোও দুপুরের জোয়ারের পানিতে তলিয়েছে। তবে এখনও ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, জেলার নদ-নদীর পানি সর্বোচ্চ তিন ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সন্ধ্যায় আঘাত হানলে তখন নদীতে ভাটি থাকবে। এতে জলোচ্ছ্বাসের বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
তবে ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগেই দুপুরের অতি জোয়ারে জেলা সদর ইন্দুরকানী, মঠবাড়িয়া, স্বরুপকাঠী ও কাউখালী উপজেলার নদীতীরবর্তী অসংখ্য গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ইন্দুরকানী পত্তাশী এলাকার বাসিন্দা নসরুল্লাহ কাফি বলেন, সন্ধ্যা ও কচা নদীর তীরবর্তী এলাকায় হাজারো পরিবারের বসবাস। দুপুরের জোয়ারে নদীর পানি উপচে লোকালয়ে তাঁদের ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়েছে।
বলেশ্বর নদের শ্রীরামকাঠী এলাকার সফিক বলেন, বৃষ্টির সঙ্গে আস্তে আস্তে বাতাস বাড়ছে। পোলাপান নিয়ে কি যে করব? আমাগো বেশি ভালো ঘর না। ঝড়ে কি হবে, জানি না।’
পাউবোর পিরোজপুর নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পিরোজপুরের প্রধান নদ-নদীর পানি দুপুরে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সবচেয়ে বেশি পানি বেড়েছে সন্ধ্যা ও কচা নদে। নদে দুপুরে বিপৎসীমার তিন ফুট ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। বলেশ্বর ও ভৈরব নদে বিপৎসীমার দুই থেকে তিন ফুট ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
প্রতিনিধি/এজে