জেলা প্রতিনিধি
২৬ মে ২০২৪, ০৯:০৪ এএম
বঙ্গোপসাগর থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’এর প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় মেঘনা নদীর মানতা জনগোষ্ঠীরা নিরাপদ স্থানে ফিরে এসেছে।
রোববার (২৬ মে) সকাল ৮টার দিকে কমলনগর উপজেলার চর শামসুদ্দিন মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মানতা জনগোষ্ঠীর লোকজন তাদের নৌকাগুলো নোঙর করে রাখছে।
আম্বিয়া খাতুন (৫৫) নামে এক নারী বলেন, শুনছি ঘূর্ণিঝড় হবে তাই নিরাপদে চলে আসলাম। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা নৌকায় বসবাস করি। প্রতিবছর যখন মে মাসের দিকে ঘূর্ণিঝড় আসে তখন খুব আতঙ্কে থাকি। আমাদের আল্লাহ ছাড়া আর কেউ নেই। নদীর মাছ ধরা আমাদের পেশা। জীবন-জীবিকার তাগিদে আমরা নৌকায় থাকি। নৌকায় আমাদের সবকিছুই।
খোদেজা বেগম নামে আরেক নারী আক্ষেপ প্রকাশ করে ঢাকা মেইলকে বলেন, আমাদের বাড়ি-ঘর, জায়গা জমি, ধনসম্পদ সবকিছুই নৌকা। তাই সকল দুর্যোগে আমরা নৌকা ছেড়ে কোথাও যায় না। তার কোলে দুই সন্তান রয়েছে হায়দার আলী ও হাকীম আলী। তিনি সন্তানদেরকে যেভাবে ভালোবেসে বুকে আগলে রাখেন, তেমনি নৌকাকে আগলে রাখেন।
কিশোর সজল ঢাকা মেইলকে বলেন, বাবা-মার সঙ্গে নৌকায় বসবাস করেন। নদীতে মাছ শিকার করা তাদের পেশা। অর্থের অভাবে পড়ালেখা করা সুযোগ হয়নি সজলদের। কখনও ভোলা, কখনও বা বরিশাল-লক্ষ্মীপুর নদীতে মাছ শিকার করেন। পড়ালেখার ইচ্ছা থাকলেও করার সুযোগ নেই। কারণ তাদের উঁচুতে জায়গা জমি নেই। থাকার সঠিক ঠিকানা নেই।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান ঢাকা মেইলকে বলেন, রাতে আমরা একটি জরুরি মিটিংয়ে বসছি। ওই বৈঠকে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের।
প্রতিনিধি/এসএস