জেলা প্রতিনিধি
২৬ মে ২০২৪, ০৩:০৬ এএম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'রেমালʼ এর প্রভাবে সমুদ্র বন্দরগুলোকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ফলে স্থানীয়দের সচেতন করতে বরগুনায় প্রচারণায় নেমেছে জেলা প্রশাসন, কোস্ট গার্ড, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
শুক্রবার (২৪ মে) রাতে উপকূলীয় জেলাটির ছয়টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদীর তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করা হয়।
এছাড়াও শনিবার (২৫ মে) দুপুরে বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসনসহ সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বরগুনায় ৩টি মুজিব কেল্লা, ৬৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যারা ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবেন। এছাড়াও ৪২২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, ৩৭ লাখ নগদ অর্থ প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৪২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/এমএইচএম