জেলা প্রতিনিধি
২৪ মে ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
যশোরের হামিদপুরে ইজিবাইক চালক মফিজুর রহমান হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইকতিয়ার বিশ্বাসকে (৪৩) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
শুক্রবার (২৪মে) সকালে সাতক্ষীরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ইকতিয়ার বিশ্বাস যশোর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের মকছেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে।
র্যাব-৬ এর কোম্পানি অধিনায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদে জানা যায়- ইজিবাইক চালক হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইকতিয়ার গোপনে সাতক্ষীরা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছে। এ সময় র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সদর হাসপাতাল এলাকা হতে ইকতিয়ার বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২২ জুন রাতে যশোর জেলার হামিদপুরের ইজিবাইক চালক মফিজুর রহমান তার হেলপার নয়নকে নিয়ে পুরাতন কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ড (মনিহার মোড়) থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে হেলপার নয়নকে ইজিবাইক দিয়ে বাড়িতে চলে যেতে বলেন এবং তিনি ময়লাখানার সামনে নেমে যায়। নয়নকে ভুক্তভোগী মফিজুর সেসময় জানায়, ইকতিয়ারের কাছে সে ভাড়ার টাকা পাবে এবং সেই টাকা নেওয়ার জন্য ইকতিয়ার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাকে ময়লাখানার সামনে ডেকেছে। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায় না।
২৪ জুন সকালে হামিদপুর ময়লাখানার পাশের একটি পুকুর থেকে মফিজুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হত্যার ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া আলামত ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামি ইকতিয়ার ও অপর একজন আসামিকে গ্রেফতার করে। একে একে বেরিয়ে আসে রহস্য এবং তারা আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে উঠে আসে আরও তিন সহযোগীর নাম।
মূলত পাওনা টাকার জন্য শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় মফিজুরকে। লাশ ফেলে দেওয়া হয় হামিদপুর ময়লাখানার পেছনের একটি পুকুরে।
তার বিরুদ্ধে মফিজুর হত্যা মামলা ছাড়াও ১টি ডাকাতি মামলা ও ১ টি অন্যান্য ধারায় মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতার আসামিকে যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস