জেলা প্রতিনিধি
০৫ মে ২০২৪, ১১:২৯ এএম
ঝিনাইদহ সদরে পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। রাসায়নিক সার, কীটনাশকের বদলে ব্যাবহার হচ্ছে জৈব সার, উন্নত বীজ, মালচিং পেপার, ফেরোমন ট্র্যাপ, হলুদ আঠালো ফাঁদ, নেট।
ঝিনাইদহ সদর কৃষি বিভাগের পরামর্শ এবং সহযোগিতায় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিষমুক্ত আবাদ সম্পর্কে কৃষক জানতে পেরে এ পদ্ধতির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। জমিতে জৈব সারের পাশাপাশি আগাছা ও সেচ সাশ্রয়ের জন্য মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে। পোকামাকড় দমনের ফেরোমন ট্র্যাপ, হলুদ আঠালো ফাঁদ বসানো হচ্ছে। দিনদিন বিষমুক্ত আবাদের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।

ভুক্তভোগী কৃষক শফি মোল্লা, ইনছান আলী, কামাল পাশা জানান, কীটনাশক ব্যাবহার কম, পূর্বে সপ্তাহে একবার সেচ দিলেও মালচিংয়ের কারণে মাসে দু’বার দিলেই চলছে। তাছাড়া মালচিং পেপারের কারণে ঘাষ জন্মাতে পারে না, তাই নিড়ানি খরচ কম হয়। কৃষি বিভাগের হিসাব মতে, এভাবে আবাদ করলে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ খরচ কমে আসতে পারে। সাধারণত লাউ, ফুলকপি, মরিচ, বেগুন, ধান, করলা এমনকি বাড়িতে মাচায় উৎপাদন করা ফসলের মাচায় পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সাধুহাটি ধর্মতলা, বৈডাঙ্গা, আমেরচারা, বাজার গোপালপুর, গান্নাসহ বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ বান্ধব কৌশলে নিরাপদ ফসলের ক্ষেত দেখা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নূর-এ-নবী বলেন, নিরাপদ ফসল উৎপাদন করতে কীটনাশক বিষ একেবারে ব্যাবহার করা হয় না, ঠিক এমন নয়। এসকল ক্ষেতে অতিপ্রয়োজনে মাত্রা পরিমাণে ব্যাবহার করা হয়। যা মানবদেহের এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়, এমন। পরিবেশ বান্ধব ও নিরাপদ ফসল উৎপাদন সদর উপজেলায় প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। দিনদিন এ পদ্ধতিতে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে বলে তিনি জানান।
প্রতিনিধি/এসএস