images

সারাদেশ

স্ত্রীর মামলায় স্ট্রেচারে চড়ে আদালতে আগাম জামিন নিলেন আফজালুল

জেলা প্রতিনিধি

২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম

বিবাহিত জীবনের ৩১ বছর পর স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় গ্রেফতার আতংকে স্ট্রেচারে চড়ে আদালতে আগাম জামিন নিলেন আফজালুল হক। রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আগাম জামিন আবেদন করে জামিন নেন তিনি।

রোববার (২১ এপ্রিল) বেলা ১২ টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এফ এম আহসানুল হক আগাম জামিন দেন। জামিন নেওয়ার সময় ভুক্তভোগী আফজালুল হকের ছেলে সাথে ছিলো।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী আফজালুল হক এর আইনজীবি পলাশ কান্তি নাগ।

ভুক্তভোগী আফজালুল হক জানান, সংসার জীবনে টুকটাক বিষয়ে স্বামী স্ত্রীর মাঝে মধ্যে ঝগড়া লাগে। সেই ঝগড়ার জেরে স্ত্রী আকতারা বেগম (৪৭) মিথ্যা যৌতুকের কথা বলে তার ভাইদের দ্বারা আমাকে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে আমার মাথায় ও পায়ে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে তারা। 

পরবর্তিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে পা প্লাষ্টার করি এবং আমার মাথায় ৬ টি সেলাই রয়েছে। বর্তমানে আমি হাটতে ও চলতে পারি না। উক্ত ঘটনায় ভাইদের বাঁচাতে আমার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে উল্টো ১১(খ) নারী ও শিশু নির্যাতন দম আইন ও যৌতুকের জন্য মারধর করার মিথ্যা ধারা উল্লেখ করে হাজিরহাট থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর থেকে আমি পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছি। সেই আতঙ্ক থেকেই এম্বুলেন্সে করে স্ট্রেচারে চড়ে আদালতে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করি। আদালত আমার সকল ঘটনা শুনে আমাকে আগাম জামিন দিয়েছেন। 

এসময় তিনি আরো বলেন, দেশে শুধু নারী নির্যাতন হয়, তা নয়, পুরুষ নির্যাতনও হয়। পুরুষ নির্যাতন প্রকাশে কম আসে। আমার ওপর স্ত্রীর ভাইদের দ্বারা নির্যাতনের বিষয়টি পুলিশকে ভালো করে তদন্ত করে দেখার জন্য বলেছেন আদালত।

আরও পড়ুন

আদালতের সঙ্গে প্রতারণা, দুই আসামির জামিন বাতিল

এদিকে আদালত চত্বরে আফজালুল হকের স্ত্রী আকতারা আসলেও সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলেননি এবং কাজ শেষে দ্রুত চলে যান তিনি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর আইনজীবী পলাশ কান্তি নাগ বলেন, পুলিশ সদয় না হলেও বিচারক অসহায় আফজালুল হকের শারীরিক অবস্থা দেখে সদয় হয়ে আগাম জামিন দিয়েছেন। সেই সাথে স্ট্রেচারে চড়ে আদালতে জামিন নেওয়ার এরকম ঘটনা রংপুরের আদালত চত্বরে প্রথম বলে জানান তিনি। 

আইনজীবী আরো বলেন, হাজিরহাট থানা পুলিশ মামলা গ্রহণের আগে তদন্ত করলে ফজলুল হক এই হয়রানীর শিকার হতেন না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নিরপেক্ষ থেকে তদন্ত করে আফজালুল হককে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দিবেন সেই প্রত্যাশাও করেন তিনি।

উল্লেখ্য আফজালুল হকের দাম্পত্য জীবন ৩১ বছরের এবং তাদের তিন ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

প্রতিনিধি/একেবি