images

সারাদেশ

ঢাকা মেইলে সংবাদ প্রকাশের পর কুমিল্লার খিড়া নদীর বাঁধ অপসারণ

জেলা প্রতিনিধি

০১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৯ পিএম

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের দারোরা-কৃষ্ণপুর সড়কের কাজিয়াতল পূর্ব পাড়া জব্বার হাজীর বাড়ির পাশের খিড়া নদীতে নির্মাণ করা বাঁধ অবশেষে অপসারণ করা হয়েছে। 

রোববার (৩১ মার্চ) “কুমিল্লার  খিড়া নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে কৃষি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়” এ শিরোনামে ঢাকা মেইলে একটি সচিত্র প্রতিবেদন গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়। 

এর ফলে বিষয়টি নজরে আসে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনের। এ সময় ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট কাউকে না পাওয়ায় শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন এই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।

আরও পড়ুন: পাংশায় রেলওয়ের জায়গা থেকে ৩৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা এই বাঁধ অপসারণ করেন।
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের দারোরা-কৃষ্ণপুর সড়কের কাজিয়াতল পূর্ব পাড়া জব্বার হাজীর বাড়ির পাশের খিড়া নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান। এ নদীতে বাঁধ নির্মাণের ফলে ব্যাহত হচ্ছিল কৃষিজমির সেচ কার্যক্রম। তিন ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নেওয়ায় হুমকিতে পড়েছে ওই ইউনিয়নসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ফসলি জমি। বিষয়টিতে স্থানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয় সুশীল সমাজ ও কৃষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। 

আরও পড়ুন: শ্রীমঙ্গল পৌরসভায় যানজট নিরসনে অভিযান

এই নিয়ে দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যাম ঢাকা মেইলসহ বেশকিছু গণমাধ্যমে রোববার সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর টনক নড়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের। রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা এই বাঁধ অপসারণ করেন। এ সময় মুরাদনগর থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর নদীর বাঁধ অপসারণ হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, খিড়া নদীর বাঁধ অপসারণের মাধ্যমে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ার কারণে কোনো ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় আনতে পারিনি। তবে ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

প্রতিনিধি/ এমইউ