images

সারাদেশ

ভোলায় ছোট ভাইয়ের প্রতিশোধ নিতে বড় ভাইকে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম

images

ভোলার দৌলতখানে ছোট ভাইয়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে একটি কিশোর গ্যাং গ্রুপ। এ ঘটনায় মাহিদ নামের এক কিশোরের বাবাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাব্বি (২২) নামের ওই যুবকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা নেওয়ার পথে সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকায় তার মৃত্যু হয়।

দৌলতখান থানার ডিউটি অফিসার মো. সাইদুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে রাব্বির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত রাব্বি দৌলতখান পৌরসভার মো. জামাল মাঝির ছেলে। তিনি পেশায় জেলে। তার ছোট ভাইয়ের নাম রাজিব হোসেন। মূলত রাজিবের প্রতিশোধ নিতেই তার বড় ভাই রাব্বিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে উপজেলার পৌর ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কয়েকজন কিশোর ক্রিক্রেট খেলছিল। তার মধ্যে রাব্বির ছোট ভাই রাজিবও ছিল। একপর্যায়ে খেলা নিয়ে রাজিব ও মাহিদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

সন্ধ্যার পর চা খেতে শহরের সোনালী ব্যাংক এলাকায় যায় রাব্বি। এসময় তিনি শুনতে পান তার ছোট ভাই রাজিবের সঙ্গে ক্রিক্রেট খেলা নিয়ে মাহিদসহ বেশ কয়েকজন কিশোরের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তখন রাব্বি মাহিদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চায়।

মাহিদ রাব্বিকে জানায়, তার ছোট ভাই রাজিব ক্রিক্রেট খেলা নিয়ে তাকে ও তার দলের অন্যান্য কিশোরদের গালমন্দ করেছে। এতে তারা রাজিবের ওপর ক্ষুব্ধ। তাকে যেখানে পাবে, সেখানেই পেটাবে। এ কথা শুনে রাব্বি রেগে যায়৷ তখন মাহিদ তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। মারধরে রাব্বির মাথা প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানের চিকিৎসক তার অবস্থা গুরুতর দেখে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। পরে স্বজনরা রাতেই তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সকালের দিকে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক রাব্বিকে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ। সেখানে নেওয়ার পথে দুপুরের দিকে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকায় রাব্বির মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যরঞ্জন খাসকেলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

থানার ডিউটি অফিসার সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। রাব্বির মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনের কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও এ ঘটনায় মাহিদ নামের এক কিশোরের বাবাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, রাব্বিকে যারা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা সবাই কিশোর। তাদের সবার বয়স ১৮ বছরের নিচে। পুলিশ পুরো ঘটনাটির তদন্ত চলমান রেখেছে।

প্রতিনিধি/এসএস