images

সারাদেশ

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ঝিনাইদহের বালিশ মিষ্টির খ্যাতি এখন বিদেশে

জেলা প্রতিনিধি

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৬ এএম

বালিশ মিষ্টি। নাম শুনেই মনে আসে বালিশের মতো বিশাল আকৃতির মিষ্টির কথা। নামের স্বার্থকতার সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে গেলে মিলবে, এক বিশালাকার, ব্যতিক্রমী ও সুস্বাদু এ মিষ্টি। বিস্ময়করভাবে একেকটির ওজন এক কেজি। কারিগর নিজেই এ মিষ্টির নামকরণ করেছেন। ঝিনাইদহের অজপাড়াগাঁয়ের এ মিষ্টির সুখ্যাতি জেলায় ছড়িয়েছে বহু আগেই। এখন এ আলাদা ধরনের মিষ্টির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ছে বিদেশে।

জানা যায়, জেলা শহর থেকে ৭২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশপুরের ভৈরবা বাজার। বাজারটি বসে সপ্তাহে দুই দিন, শনি ও মঙ্গলবার। দুপুর ২টার পর থেকে জমতে থাকে বাজার। বিকিকিনি চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এ বাজারে গত ৩৫ বছর মিষ্টি বিক্রি করেন হযরত আলী। তার নিজের হাতে তৈরি বালিশ মিষ্টি কিনতে ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। বিশাল-বিশাল গামলায় কয়েকধরনের মিষ্টি বিক্রি করেন হযরত। তবে একটিতে থাকে ১ কেজি ওজনের ভিন্নধর্মী বালিশ মিষ্টি। আর অন্যগুলোয় চলে রসগোল্লা, চমচমসহ আরও হরেক ধরনের মিষ্টি। বাজারে মিষ্টির দোকান বেশ কয়েকটি থাকলেও তার দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। ব্যতিক্রমী, সুস্বাদু এ মিষ্টি শুধু কেনা নয়, কিছু ক্রেতা এ মিষ্টি দোকানেই কিনে খান।

thumbnail_01

ঝিনাইদহ শহরের রফিকুল ইসলাম জানান, এখানে একটি কাজে এসেছিলাম। কাজ শেষ করে বাজারে এসে ব্যতিক্রমী এ মিষ্টি পেয়ে গেলাম। ২ কেজিু ওজনের বালিশ মিষ্টি বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছি।

বাজারের আরেক দোকানদার রহমত মিয়া জানান, ১৯৭১ সাল থেকেই হযরত আলীর বাবা আজিজুল ইসলাম এ বাজারে মিষ্টি বিক্রি শুরু করেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুরের সামান্তা কুটিপাড়া গ্রামে। তার মিষ্টির সুনাম এখন দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

thumbnail_03

মিষ্টির মূল কারিগর হযরত আলী জানান, নিজের থেকেই তিনি এ মিষ্টি তৈরি করেছেন। মানুষের মাঝে দিন দিন চাহিদা বাড়ায় তিনি এ মিষ্টি তৈরি করে যেতে চান। তিনি ৪ ধরনের বালিশ মিষ্টি তৈরি করেন। আধা কেজি, ১ কেজি ও দেড় কেজি এবং দুকেজি। এ বাজারেও রকমভেদে তিনি ২৭ কেজি বালিশ মিষ্টি এনেছেন। তার মিষ্টিতে কোনো কেমিক্যাল ব্যবহৃত না হওয়ায় চাহিদা ব্যাপক। কখনই কোনো মিষ্টি দোকানে পড়ে থাকে না তার। প্রতিবাজারে তার বিক্রি হয় প্রায় ১৮-২০ হাজার টাকা। উপাদান হিসেবে ব্যবহার করেন ময়দা, চিনি, গরুর খাঁটি দুধ ও ছানা। দাম ৩০০ ও ৬০০ টাকা। এ মিষ্টির জেলাব্যাপী সুখ্যাতি ছড়িয়েছে বহু আগেই। গত কয়েকবছর দেশের গন্ডি মিষ্টি চলে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে। প্রবাসীরা যখন আবার ফিরে যান তখন তারা আলাদাভাবে অর্ডার দিয়ে মিষ্টি কিনে নিয়ে যান। মিষ্টির মান ভালো হওয়ায় তা কমপক্ষে ৫-৭ দিন রেখে খাওয়া যায়।

প্রতিনিধি/টিবি