images

সারাদেশ

প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ স্বামীর আত্মহত্যা

জেলা প্রতিনিধি

০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম

নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রথম স্ত্রীর ওপর অভিমান করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এরআগে রাত ৯ টার দিকে তারা গ্যাস ট্যবলেট খান।

নিহতরা হলেন—জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বরাইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সুমন (৪০) ও তার স্ত্রী গোলাপি (৩০)।

নিহতের পরিবার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুমন পেশায় একজন দিনমজুর। সুমনের বড় স্ত্রী খাদিজাকে না জানিয়ে গোপনে গত এক সপ্তাহ আগে গোলাপিকে বিয়ে করে। গত মঙ্গলবার খাদিজা তার বাবার বাড়ি গেলে এ সুযোগে ছোট বউ গোলাপিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন সুমন। বুধবার বিকেলে খাদিজা বাড়ি আসার পর থেকেই ঝগড়া চলছিল। রাতেই তারা এক সাথে খাবারও খায়। পারিবাকি দ্বন্দ্বে রাত ৯টার দিকে সুমন ও গোলাপি গ্যাস ট্যাবলেট খায়। পরে তাদের উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২টার দিকে গোলাপি ও রাত ২ টার দিকে সুমন মারা যায়।

সুমনের প্রতিবেশি চাচী গৃহবধূ চাম্পা বলেন, সুমনের আগের সংসারে দুই সন্তান ও স্ত্রী আছে। দিনমজুর হওয়ার পরও গোপনে আরেকটি বিয়ে করে মঙ্গলবার বাড়ি নিয়ে আসে। এসময় বড় বউ তার বাবার বাড়ি ছিল। সংবাদ পেয়ে বড় বউ খাদিজা ওইদিন বিকেলে বাড়ি আসে। এরপর থেকে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। রাতেও তারা সবাই এক সাথে খাবার খেয়ে ছোট বউকে নিয়ে শুয়ে পড়ে।  সুমন বড় বউয়ের কাছে যেতে চাইলেও দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। রাত ৯টার দিকে হয়ত তারা দুজনে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে। বিষয়টি জানার পর তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আবু আনসারি বলেন, হাসপাতালের নিয়ে আসার পর থেকেই তাদের দুজনের অবস্থা গুরুত্বর ছিল। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রেফার্ড করার প্রক্রিয়া করা হলেও রোগীর স্বজনরা অনত্র নিতে চায়নি। তারপরও তাদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোলাপি ও সুমন মারা যায়।

মহাদেবপুর থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বে গ্যাস ট্যাবলেট সেবনে আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের পর আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

প্রতিনিধি/একেবি