জেলা প্রতিনিধি
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
জামালপুরে অব্যাহতি পাওয়া সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শামীম আহম্মেদ ও সহ-সভাপতি নাদিম হাসান জয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কলেজের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে কলেজের প্রশাসনিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে ভুক্তভোগী এ ঘটনায় দুজনের নাম উল্লেখসহ তিন-চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন। মারধরের শিকার ওই কর্মচারীর নাম মো. হেলাল উদ্দিন। তিনি ওই কলেজের হিসাবরক্ষক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে শামীম আহম্মেদ ও নাদিম হাসানের নেতৃত্বে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী কলেজের সাধারণ শাখায় কম্পিউটার কক্ষে আসেন। শামীম আহম্মেদ অন্য কলেজ থেকে স্থানান্তরের (মাইগ্রেশন) মাধ্যমে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে এই কলেজে ভর্তি নিতে বলেন। তখন মো. হেলাল উদ্দিন অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া কারও নাম ভর্তির তালিকায় তুলতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ওই ছাত্রলীগ নেতা তাকে গালিগালাজ করতে থাকেন। নিষেধ করা হলে তারা হেলাল উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা টেনেহিঁচড়ে হেলাল উদ্দিনকে ওই কক্ষ থেকে বের করে একটি অটোরিকশায় উঠিয়ে নেন। অটোরিকশায় তাকে মারধর করতে করতে শহরের পৌর কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া সময় হেলাল উদ্দিনের ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে ওই ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাকে রেখে পালিয়ে যান। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় হেলাল উদ্দিনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শাখার সভাপতি মো. শামীম আহম্মেদ ও সহ-সভাপতি নাদিম হাসান জয়কে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
সেই সাথে কেন তাদের বিরুদ্ধে স্থায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ আগামী (৭) সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরাবর লিখিত জবাবের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বী বলেন, এই ঘটনায় তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এবং আগামী সাত দিনের মধ্যে এসব বিষয়ের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জামালপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এখানে দুজনের নামসহ তিন-চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।
অব্যাহতি পাওয়া দুই ছাত্রলীগ নেতার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রতিনিধি/একেবি