জেলা প্রতিনিধি
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২৪ পিএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (হাতঘড়ি)।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (হাতঘড়ি) প্রতীক পেয়েছেন প্রাপ্ত ভোট ৮১ হাজার ৯৫৫। পরাজিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম (ট্রাক গাড়ি)। তার প্রাপ্ত ভোট ৫২ হাজার ৯৮৬।
এ নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল সাতজন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন- সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও জাফর আলম এমপি।
অন্য প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির হোসনে আরা (লাঙ্গল), তার প্রাপ্ত ভোট ৭৭৩। বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির হাজী বশিরুল আলম (হাতুড়ি), তার প্রাপ্ত ভোট ৫৩৭। ইসলামী ফ্রন্টের বেলালউদ্দিন (মোমবাতি), তার প্রাপ্ত ভোট ৬৯১। স্বতন্ত্র প্রার্থী কমরুদ্দিন আরমান (কলারছড়া), তার প্রাপ্ত ভোট ১৮০।
জাফরফেলে তানভির ছিদ্দিকী তুহিন (ঈগল), তার প্রাপ্ত ভোট ২৪৪। চকরিয়া-পেকুয়ায় ২৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় চার লাখ ৮৬ হাজার। কেন্দ্র সংখ্যা ১৫৮টি। দু’উপজেলায় মোট ভোট পড়ে এক লাখ ৪০ হাজার ৬১৮। বাতিল ভোটের সংখ্যা তিন হাজার ৩১২।
নানা অনিয়মের অভিযোগে তিনটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দেওয়া হয়। স্থগিত কেন্দ্র তিনটি হলো-চরন্দ্বীপ ভুমিহিন সমবায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কেন্দ্র নম্বর ২৫), দক্ষিণ ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কেন্দ্র নম্বর ৭৪), মরনঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কেন্দ্র নম্বর ৮০)।
এদিকে পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ভোট ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে বিকেল ৩টা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম (ট্রাক প্রতীক)।
জাফর আলম আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমকে বিজয় করতে আনসার ও পুলিশ সদস্যরা প্রভাব খাটিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। তার বিজয় তারা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়েছে বলে দাবি করেন জাফর আলম। এছাড়া বেশ কয়েকটি স্থানে তার লোকজনকে মারধর করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/ এজে