জেলা প্রতিনিধি
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুরের সরিষাবাড়ি ও ইসলামপুর আসনে গুলিবর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। জামালপুর ৪ সরিষাবাড়ীতে নৌকা ও ট্রাক সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর আদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ও ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে। ছোটাছুটি করতে গিয়ে এ সময় ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
এদিকে জামালপুর ২ ইসলামপুর আসনে সভারচর সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্রে নৌকা সমর্থকরা ব্যালট পেপার সিল মারার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা বাধা দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়। সেখানে সুজন নামে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহিনের পোলিং এজেন্ট সুজন গুলিবিদ্ধ হয় ।
অপরদিকে সকাল ১১টার দিকে পৌরসভার বলারদিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলাল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রশীদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় নৌকার এজেন্ট মুমিনুল ইসলাম ও রমজান আলী আহত হয়েছেন। মুমিনুলকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান এসব ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করেছেন।
জামালপুর-২ ইসলামপুর আসনের জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকায় সিল মারার অভিযোগ করেছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ। দুপুরে ইসলামপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচনে নানা অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন।
একই অভিযোগে জামালপুর তিন মেলান্দহ মাদারগঞ্জ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মির শামসুল আলম দুপুর ১২ টার দিকে সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
পোলিং এজেন্টদের মারধর করে সব কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়া, প্রকাশ্য সীল মারাসহ ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে জামালপুর-৫ সদর আসনের নির্বাচন স্থগিত করে পুন:নির্বাচন দাবি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু।
জামালপুর ২ ইসলামপুর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিন নির্বাচনকে একটি প্রহসন আখ্যা দিয়ে পুন:নির্বাচন দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের লোকজন তার নির্বাচনী এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়া, প্রকাশ্য সীল মারাসহ ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির করেছেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর প্রভাবে প্রশাসন নিশ্চুপ হয়ে ছিল। এটা নির্বাচনের নামে প্রহসন করা করা করা হয়েছে দাবি করে পুনঃনির্বাচন দাবি করেন তিনি।
প্রতিনিধি/একেবি