images

সারাদেশ

কমলা চাষে সফল প্রবাসফেরত আলমগীর

জেলা প্রতিনিধি

৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫৮ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সফলভাবে কমলার চাষ করে ব্রাহ্মবাড়িয়ার কৃষি ব্যবস্থার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন প্রবাসফেরত আলমগীর।

সীমান্তবর্তী বিজয়নগর উপজেলার দুলালপুর গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ করে সাড়া ফেলেছেন তিনি। আলমগীরের বাগানজুড়ে ছেয়ে আছে সুস্বাদু রসালো ফল কমলা। গাছের থোকায় থোকায় রসে টইটম্বুর কমলার নয়নাভিরাম দৃশ্য। স্বাদে ও গুণে অতুলনীয় এসব কমলা কিনতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বাগানে আসছেন ক্রেতারা। প্রতি কেজি কমলা বিক্রি হচ্ছে ২শ টাকা দরে। প্রতিদিন ২শ-৩শ কেজি কমলা বিক্রি হচ্ছে এ বাগানে। আলমগীরের এ সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এখন অনেকেই কমলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এদিকে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, কমলার আবাদ বৃদ্ধিতে নতুন উদ্যোক্তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

thumbnail_Orange_pic_4

সাইপ্রাসে থাকাকালীন অবস্থায় সেখানকার কমলা বাগান দেখে আকৃষ্ট হন আলমগীর ভূঁইয়া। ২০১৮ সালে দেশে ফিরে সিদ্ধান্ত নেন কমলা বাগান করার। সেজন্য বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দুলালপুর গ্রামের একটি টিলায় দুই বিঘা জমি বর্গা নেন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে চুয়াডাঙ্গা থেকে চায়না জাতের কমলার ১৮০টি চারা সংগ্রহ করে কমলার চাষ শুরু করেন আলমগীর। প্রথম দুই বছর বাগানে ফলন না আসলেও গত বছর থেকে বাগানে ফলন আসতে শুরু করে। প্রথম দফায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ করে পৌণে পাঁচ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করেন তিনি। তবে চলতি মওসুমে ফলন এসেছে দ্বিগুনেরও বেশি। এবার ৩ লাখ টাকা খরচ করে যে ফলন এসেছে তাতে ১০/১২ লাখ টাকা মিলবে বলে আশাবাদী আলমগীর। এছাড়াও কমলা চাষে সফল হওয়ায় আলমগীর নতুন করে আরও ৩ বিঘা জমি নিয়ে শুরু করেছেন কেনু কমলা আর মাল্টার চাষ।

thumbnail_Orange_pic_3

কমলা চাষি ও সফল উদ্যোক্তা আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, সাইপ্রাসে থাকাকালীন অবস্থায় সেখানকার কমলা বাগান দেখে আমি দেশে আমার নিজ গ্রামে কমলা বাগান করার সিদ্ধান্ত নেই। দেশে ফিরেই বাগান করার কাজ শুরু করে দেই। তারপর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দুলালপুর গ্রামের একটি টিলায় দুই বিঘা জমি বর্গা নিয়ে সেখানে চুয়াডাঙ্গা থেকে চায়না জাতের কমলার ১৮০টি চারা সংগ্রহ করে কমলার চাষ শুরু করি। প্রথম দুই বছরে আমার বাগানে কমলার ভালো ফলন না আসলেও গত বছর থেকে বাগানে ফলন আসা শুরু করে। আমি প্রথম দফায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ করে পৌণে পাঁচ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করি। তারপর চলতি মৌসুমে ৩ লাখ টাকা খরচ করে যে ফলন এসেছে তাতে আশা করি ১০/১২ লাখ টাকা পাবো। পাশাপাশি আমি নতুন করে আরো ৩ বিঘা জমি নিয়ে কেনু কমলা আর মাল্টার চাষ শুরু করেছি।

thumbnail_Orange_pic

কমলা বাগানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে ঘুরতে আসা তিন বন্ধু আতিক, বরাত ও নাঈম বলেন, এ বাগানের কমলা অনেক মিষ্টি ও সুস্বাদু। আমরা বাগান থেকে কমলা খেয়েছি এবং পরিবারের জন্য কিনেছি। তাছাড়া বাগানটি অনেক সুন্দর পরিবেশে করা হয়েছে সেজন্য প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য্য ফুটে উঠেছে এখানে।

বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাব্বির আহমেদ বলেন, আলমগীর ভূঁইয়ার সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এখন অনেকেই কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। পাশাপাশি কমলার আবাদ বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নতুন উদ্যোক্তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

টিবি