images

সারাদেশ

কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি

০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪১ এএম

নির্বাচনী আচরণববিধির তোয়াক্কা না করে গাড়িবহর ও মোটরবাইক নিয়ে ব্যাপক শোডাউন করার অভিযোগ ওঠেছে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে তিনি কয়েক শ নেতাকর্মী নিয়ে দেবিদ্বার পৌর সদরে শোডাউন করেন বলে জানা যায়। এ সময় নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। নিজের গাড়ির ছাদ খুলে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের অভ্যর্থনা জানান রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। তার শোডাউনটিতে শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর ছিল এবং তাতে উচ্চ হর্ন দিয়ে বাইক চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠেছে। এসময় রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন রাজী মোহাম্মদ ফখরুল।

আরও পড়ুন: নাটোর চারটি আসনে নৌকার বিপক্ষে চাচা-ভাতিজাসহ ৪৩ প্রার্থী

জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ৮ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক নিবন্ধিত দল বা দল-মনোনীত ব্যক্তি বা স্বতন্ত্র কিংবা তাদের পক্ষে কোনো ব্যক্তি ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্যকোনো যান্ত্রিক যানবাহনে মিছিল কিংবা মশাল মিছিল বের করতে কিংবা শোডাউন করতে পারবেন না।

show-down-2

তবে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি দাবি করে রাজী মোহাম্মদ ফখরুল  বলেন, আমি কোনো মিছিল কিংবা শোডাউন করিনি। আমি যখন মনোনয়নপত্র জমা দিই তখন আমার সঙ্গে মাত্র ১০-১২ জন লোক ছিলেন। এতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি। আমি ঢাকা থেকে দেবিদ্বার আসার পর পৌর মিলনায়তনে একটা মিলাদে অংশ নিয়েছি। আমার কিছু কর্মী সমর্থক ছিলেন সেখানে। ওখানে তারা আমাদের গাড়িবহরের সঙ্গে স্বেচ্ছায় যোগ দিয়েছেন।

show-down-3

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মনির হোসাইন খান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া  হবে। 

আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পুলিশ-বাস শ্রমিক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ৩ পুলিশ সদস্য

এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান আছে কি না জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। তারা এমন কিছু দেখলে সঙ্গেসঙ্গেই ব্যবস্থা নেন।

কুমিল্লা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মু. মুশফিকুর রহমান ঢাকা মেইলকে জানান, বিষয়টি এখনই আপনাদের কাছ থেকে জেনেছি ও আপনাদের মুখে শুনলাম। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।