images

সারাদেশ

বিক্ষুব্ধ সাগর, তীরে আছড়ে পড়ছে উঁচু ঢেউ

জেলা প্রতিনিধি

২৫ অক্টোবর ২০২৩, ০১:১২ এএম

সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ইতোমধ্যে ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে পর্যটননগরী কক্সবাজারে। তীব্র বাতাসের ফলে সাগরের গর্জন বাড়ছে। রাত যতই গভীর হচ্ছে গর্জন ততই বাড়ছে। বড় আকারের ঢেউ আছড়ে পড়ছে সাগর তীরে। পযর্টকসহ কক্সবাজারের বেশ কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুনের’ প্রভাব শুরু হয় কক্সবাজারে। ঝড়ো বাতাস শুরু হওয়ার পরই শহরের বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ে। রাত সাড়ে ৮টা থেকে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে পুরো কক্সবাজার শহর। অন্ধকারে পুরো শহরজুড়ে ভূতুড়ে অবস্থা বিরাজ করছে।

দুই ঘণ্টার মতো তুমুল ঝড় বয়ে যাওয়ার পর বাতাসের গতি কিছুটা কমে আসে। এর মধ্যে কিছু উৎসুক পর্যটককে সাগরের আশপাশে ঘুরতে দেখা যায়। নিরাপদ দূরত্বে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে সেখানে যান।

সাজ্জাদুল ইসলাম নামে একজন বলেন, সমুদ্রের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে উপকূলে। দূর থেকেও সাগরের গর্জন শোনা যাচ্ছে।

coxsbazar-1

আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১৪তে বলা হয়েছে, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২১.৭ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.৮ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ (২৪ অক্টোবর) রাত নয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশের উপকূল অতিক্রম অব্যাহত আছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কুতুবদিয়ার নিকট দিয়ে পরবর্তী ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সাগর ‘খুবই উত্তাল’ থাকায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অপর দুই সমুদ্রবন্দর মোংলা ও পায়রাকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এমআর