জেলা প্রতিনিধি
২৪ অক্টোবর ২০২৩, ১১:১৫ পিএম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘হামুনের’ প্রভাব শুরু হয়েছে পর্যটননগরী কক্সবাজারে। সন্ধ্যার পর থেকে দমকা হাওয়া শুরু হলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে পুরো কক্সবাজার শহর। অন্ধকারে পুরো শহরজুড়ে ভূতুড়ে অবস্থা বিরাজ করছে।
সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঝড়ো বাতাস শুরু হওয়ার পরই কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ে। এতে বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে পুরো কক্সবাজার শহর।
হামুনের প্রভাবে সকাল থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয় জেলায়। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভারী বৃষ্টি ও বাতাস শুরু হয়। এতে গাছপালা উপড়ে ও ডালপালা ভেঙে পড়তে থাকে। এরপর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পুরো শহর।
বিদ্যুৎ না থাকায় বিঘ্ন হচ্ছে টেলিযোগাযোগসেবাও। অধিকাংশ এলাকায় বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কক্সবাজারের সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে গাছপালা ভেঙে পড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ বিভিন্ন সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার কারণে পুরো শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। হামুনের তাণ্ডবে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে পুরো কক্সবাজার শহর।’
মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক আজিজুর রহমান জানান, ভোলার ওপর দিয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুনের অতিক্রমের কথা ছিল। তবে গতিপথ পাল্টে ঝড়টি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার ওপর দিয়ে আগামী ১০ ঘণ্টার মধ্যে অতিক্রম করবে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে বাতাসের বেগ ৭০-৮০ কিলোমিটার। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের আশপাশে সাগর উত্তাল রয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর, মোংলা ও পায়রাকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে। উপকূলের নৌযান এবং মাছ ধরার নৌকাগুলোকে উপকূলের নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এমআর