images

সারাদেশ

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবেলায় প্রস্তুত সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন

জেলা প্রতিনিধি

২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৩৫ পিএম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’–ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে। এটি আগামীকাল বুধবার (২৫ অক্টোবর) আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ৩শ সাইক্লোন শেল্টার। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককেও। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। আমাদের লক্ষ্য থাকবে কিভাবে ক্ষয় ক্ষতি কমানো যায়। সকল সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুতি রাখা হবে। ট্রলারগুলো রিকুইজেশন করা হবে। তারা মানুষের পরাপার করবে। 

জেলা প্রশাসক বলেন, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। শুকনো খাবার ও ওষুধ প্রস্তত রাখা হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রস্তত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড। 

এদিকে, জেলা প্রশাসক’র সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থপনা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজা রশিদ, সহকারী পুলিশ সুপার সজিব খান, জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আব্দুল বাসেত, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আছাদুজ্জামান বাবু, পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল (শুভ্র), সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা জেলা তথ্য অফিসার মো. জাহারুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন অধিদফতরের মো. সালাউদ্দিন প্রমুখ। 

এসময় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, বর্তমানে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের যে গতিপথ আছে তা পরিবর্তন না হলে আপাতত সাতক্ষীরা  উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই। তবে ঝড়ের প্রভাবে দমকা বাতাস, ভারী বৃষ্টি ও নদীতে পানির উচ্চতা বাড়তে পারে। 

প্রতিনিধি/একেবি