images

সারাদেশ

লালমনিরহাটে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি

১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৫৫ পিএম

লালমনিরহাটের কুলাঘাটে গৃহবধূকে হুমকি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা সোলায়মান আলী সবুজের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

অভিযোগের বিষয় নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক। তবে অভিযোগে অস্বীকার করেছেন ওই নেতা।

কুলাঘাট ইউনিয়নের বারোহাত কালী নামক স্থানে গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটলেও রাজনৈতিক চাপে বাড়িছাড়া ছিলেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

অভিযুক্ত সোলায়মান আলী সবুজ একই ইউনিয়নের কুলাঘাট এলাকার সফিকুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন থেকে ছাত্রলীগ নেতা সবুজ তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় সে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। তার স্বামী স্থানীয় কুলাঘাট বাজারে মাছের ব্যবসা করে রাতে বাজার থেকে ফেরার পথে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ছাত্রলীগ নেতা সবুজ। কিন্তু এতেও কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে সুযোগের সন্ধানে থাকে ওই ছাত্রলীগ নেতা।

পরে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বাড়িতে প্রবেশ করে গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এসময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ নেতা সবুজকে আটক করে উপস্থিত প্রতিবেশী লোকজন। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দল বেঁধে এসে সবুজকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

গৃহবধূর স্বামী জলধর বিশ্বাস জানান, আমার স্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন নম্বর দিয়ে কথা বলে কুপ্রস্তাব দিত। এতে রাজি না হওয়ায় বাড়িতে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে। পরে আমাকে টাকা নিয়ে মিমাংসা করার চাপ দেয় ছাত্রলীগ নেতা সবুজের লোকজন। এতে রাজি না হলে তারা আমাদের ৩ দিন বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি। পরে সোমবার বিকেলে ৩টি ১০০ টাকার ফাকা স্টাম্পে আমাদের সই নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে কুড়িগ্রামে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে আশ্রয় নেই। সেখান থেকে লালমনিরহাট সদর থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সামনে দুর্গাপূজা। ওরা আমাদের পূজার আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। আমি ছাত্রলীগের লম্পট নেতা সবুজের বিচার চাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সোলায়মান আলী সবুজ বলেন, আমাকে সমস্যার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে ওই গৃহবধূ এলাকার লোকজনকে ডেকে এনে মিথ্যা অপবাদ দেয়। আমার সঙ্গে ওই গৃহবধূর কোনো সম্পর্ক নেই।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

সদর থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, মঙ্গলবার রাতে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্তে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দ্রুত তদন্ত শেষে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/এসএস