জেলা প্রতিনিধি
১০ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:০১ পিএম
প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বছরের পর বছর দৈহিক সম্পর্ক করে আসছিলেন ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়ন ছাত্র লীগের মিজান ঢালী ।
মিজানের সঙ্গে একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা শুনে বিয়ের দাবিতে সোমবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে মিজান ঢালীর বাড়িতে এসে উঠে ওই তরুণী।
এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহে গেলে মিজান ও তার ভগ্নিপতি মহিউদ্দিন মহি গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর চড়াও হয় ও হুমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে মিজান ও তার ভগ্নিপতি মহিউদ্দিন মহি মিলে ওই তরুনীকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
সোমবার (৯ অক্টোবর) রাতে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের আমিন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার বিষয়ে ছাত্র লীগ নেতা মিজান ঢালীর মা লুৎফা বেগম ঢাকা মেইলকে বলেন, সে আমার জন্মের সন্তান হলেও এখন আমি আর ওর পরিচয় দিতে চাই না। কারণ মিজান আমার মানসম্মান সকল কিছু মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। মিজান আমার সম্মান রাখে নাই। আমি ওর মতন পোলা চাই না।
এই ঘটনার পরেই গতকাল রাত থেকে কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মিজান ঢালী।
সিড্যা ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সভাপতি মিজান ঢালী আমিন বাজার ঢালী বাড়ির আব্দুর রশিদ ঢালীর ছেলে।
ভুক্তভোগী তরুণী পার্শ্ববর্তী ছয়গাও ইউনিয়নের আব্দুল মান্নান মুন্সির মেয়ে।
ভুক্তভোগী ঢাকা মেইলকে বলেন, মিজান ও আমার প্রায় ছয় বছরের সম্পর্ক। সে আমাকে বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে বহুবার স্বামী-স্ত্রীর মতো মেলামেশা করে। এখন হঠাৎ করে ও আমাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। তাই আমি কোনো উপায় না পেয়ে বিয়ের দাবিতে ওর বাড়িতে এসে উঠি। এছাড়া আমার আর কোনো পথ খোলা নেই। মিজান যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে মৃত্যু ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।
এই ঘটনার বিষয়ে সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল হাদী জিল্লু ঢাকা মেইলকে বলেন, আমার জানামতে মিজানের সঙ্গে তরুণী প্রায় ছয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক। এ সম্পর্কের জের ধরেই তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো চলাফেরা করেছে। এ বিষয়টি এলাকার বেশির ভাগ মানুষের জানা। গতকাল রাতে মেয়েটি যখন ছেলের বাড়িতে আসে তখন মিজান বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তবে আমি উভয় পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করছি।
প্রতিনিধি/এসএস