images

সারাদেশ

সন্তানের মুখ দেখা হলো না: ডেঙ্গু কেড়ে নিল শাহ আলমের জীবন

জেলা প্রতিনিধি

২১ আগস্ট ২০২৩, ০৬:০০ পিএম

images

পড়ালেখার ইতি টেনে জীবিকার তাগিদে কয়েক বছর আগে ঢাকায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে যোগ দেন শাহ আলম (২৫)। তার স্ত্রী বর্তমানে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিছুদিন পরেই ফুটেফুটে ছেলে সন্তান দুনিয়ায় আগমন করবে, এই প্রতিক্ষায় ছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস অনাগত সন্তানের মুখ দেখার আগেই ডেঙ্গু জ্বরের থাবায় অকালে মৃত্যু হলো তার। 

সোমবার (২১ আগস্ট) ভোর রাতে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। দুই ভাইয়ের মধ্যে শাহ আলম ছিলেন ছোট।

শাহ আলম সালথা উপজেলা সদরের কাউলীকান্দা গ্রামের ব্যবসায়ী সিরাজ মাতুব্বরের ছেলে। 

শাহ আলমের সম্বন্ধী (স্ত্রীর বড় ভাই) এনায়েত খান জানান, শাহ আলমের সঙ্গে এক বছর আগে আমার বোনের বিয়ে দেই। বর্তমানে আমার বোন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শাহ আলম অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ ছিল। চাকরি করতো ঢাকায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে। গত ১৫ আগস্ট উপলক্ষে ছুটিতে বাড়িতে আসে। সেখান থেকে গত বুধবার গর্ভবতী স্ত্রীকে দেখতে আমাদের রাজবাড়ীতে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে সে স্বাভাবিক জ্বরে আক্রান্ত হন। প্রথমে জ্বরের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এতে শারিরীক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শুক্রবার তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষার পর তার ডেঙ্গু  ধরা পড়ে।

তিনি আরও বলেন, রাজবাড়ী হাসপাতালে শাহ আলমের অবস্থার অবনতি হলে রোববার রাতে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ১০৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১০২ জন রোগী। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিতসাধীন রয়েছেন ২৪২ জন রোগী।

তিনি আরও বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছে ৩হাজার ৫০০ জন। সুস্থ্ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩ হাজার ২৪৭ জন।

প্রতিনিধি/এসএস