জেলা প্রতিনিধি
০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৫:২৯ এএম
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সিরাজুল আলম খান একই সূত্রে গাঁথা। রাজনৈতিক বিভেদের কারণে তাকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস লিখলে তা সঠিক হবে না।
শনিবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর সীমান্ত অবকাশের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খানের স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
সিরাজুল আলম খান ফাউন্ডেশন রাজশাহী এ সভা আয়োজন করে।
ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ও সিরাজুল আলম খানের ভাতিজি ব্যারিস্টার ফারাহ খান বলেন, সিরাজুল আলম খান নিউক্লিয়াস তৈরি করেছিলেন। তার সেই নিউক্লিয়াস বাংলাদেশ স্বাধীনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তার রেখে যাওয়া রাজনৈতিক দর্শন, দেশপ্রেমকে সবার সামনে তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, সিরাজুল আলম খানের নামে কোনো স্থাপনা নেই, কোনো সড়কের নামকরণও হয়নি। হয়নি কারণ, তিনি এসব চাননি, কখনও খ্যাতির পেছনে ছোটেননি। নিঃস্বার্থভাবে দেশের জন্য কাজ করেছেন। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে আমরা এ ফাউন্ডেশন গঠন করি। এ ফাউন্ডেশন সিরাজুল আলম ও দেশের জন্য কাজ করবে। আমি চাই দেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছাতে।
জাসদের কর্মী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে সভায় রাজশাহী মহানগর জাসদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল কবীর বাবু, সাবেক জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিনুল হক পান্না, মোশাররফ হোসেন, জেলা জাসদের সহসভাপতি গোলাম হায়দার, সাবেক নেতা শাহরিয়ার রহমান সন্দেশ, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, হোসেন আলী পিয়ার, ফয়জুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা সিরাজুল আলম খানের ১৪ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান। তার দাবির দেশে ৯টি প্রদেশ, একজন মুখ্যমন্ত্রীসহ ৯ সদস্যের প্রাদেশিক সরকার এবং এক-তৃতীয়াংশ শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিনিধি নিয়ে ১৫০ সদস্যের প্রাদেশিক পরিষদ গঠন, ২০০ সদস্যের আইনসভার উচ্চকক্ষ গঠন, ফেডারেল সরকার, মেট্রোপলিটন সরকার ও স্বশাসিত উপজেলা ব্যবস্থা চালু, নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন এবং এক ব্যক্তির দুই ভোট চালু করা ছিল উল্লেখযোগ্য।
প্রতিনিধি/এইচই