নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ জুলাই ২০২৩, ০৭:২৮ পিএম
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য রফতানির ব্যবস্থাপনায় রয়েছে চট্টগ্রামের বেসরকারি ১৮টি কনটেইনার ডিপো। যেগুলো দিয়ে অবাধে পাচার হয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। যা চট্টগ্রাম শুল্ক গোয়েন্দাদের নজরে এসেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এ তথ্য জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ। তিনি বলেন, ডিপোগুলোতে স্ক্যানার না থাকা, ডিপো মালিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমঝোতার অভাব, অসাধু সিএন্ডএফ এজেন্টদের সহযোগিতা, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি এবং কাজের চাপে কাস্টমসের গাফিলতি থাকার কারণেই বিদেশে অর্থ পাচারের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
অন্যদিকে স্ক্যানার মেশিন বসালে সমাধান নয়, উল্টো সমস্যা বাড়বে বলে দাবি ডিপো মালিকদের। ডিপো মালিকরা জানান, স্ক্যানার মেশিন বসাতে ১৫ কোটি টাকা খরচ। ডিপো মালিকরা নিজ পকেট থেকে এ অর্থ দেবে না। আর স্ক্যানার বসাতে কাস্টমসেরও কোনো উদ্যোগ নেই। আবার স্ক্যানার মেশিন বসালে কাজের গতি অনেকটাই কমে যাবে। একইসাথে ডিপোর সামনে সড়কগুলোতে যানজট তৈরি হবে। এ কারণে ডিপোগুলোতে স্ক্যানার মেশিন বসানো সম্ভব নয় বলে জানান তারা।
চট্টগ্রাম বন্দরের অনুমোদিত ১৮টি বেসরকারি ডিপো সচল রয়েছে। যেগুলেতে নীতিমালা অনুযায়ী স্ক্যানার মেশিন বসানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এই নীতিমালা মানছে না কেউই। ফলে রফতানির আড়ালে অবাধে অর্থ পাচারের সুযোগ পাচ্ছে।
ডিপোগুলো হচ্ছে, মধ্যম হালি শহরে হাজী মোহাম্মদ ইউনুসের মালিকানাধীন ইহসাক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও ওমর ফারুক চৌধুরী সবুজের মালিকানাধীন চিটাগং কনটেইনার ট্রান্সপোর্টেশন লিমিটেড, কাঠগড় এলাকায় ইয়াসীর রিজভীর মালিকানাধীন সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, ইমরান ফাহিম নুরের মালিকানাধীন ভারটেক্স অফডক লজিস্টিক সার্ভিস লিমিটেড ও মো. শাহ আলমের মালিকানাধীন ইস্টার্ন লজিস্টিক লিমিটেড।
সিইপিজেড এলাকায় এ এস এম নাঈমের মালিকানাধীন কেএন্ডটি লজিস্টিক লিমিটেড ও নুরুল কাইয়্যুম খানের মালিকানাধীন কিউএনএস কনটেইনার সার্ভিস লিমিটেড, ফৌজদারহাট এলাকায় এস এম শফির মালিকানাধীন শফি মোটরস, ভাটিয়ারি এলাকায় আনিছ আহমেদের মালিকানাধীন পোর্ট লিংক লজিস্টিক সেন্টার লিমিটেড।
সীতাকুণ্ডে সোনাইছড়ি এলাকায় খলিলুর রহমানের মালিকানাধীন কেডিএস লজিস্টিক লিমিটেড, লালদিয়া চর এলাকায় মো. মহসীন সরকারের মালিকানাধীন ইনকনট্রেড লিমিটেড, সিটি গেট এলাকায় নাজির চৌধুরী নিশানের মালিকানাধীন গোল্ডেন কনটেইনার লিমিটেড, মো. মোস্তাফিজুর রহমানের মালিকানাধীন বিএম কনটেইনার ডিপো।
কালুরঘাট এলাকায় মো. মুসার মালিকানাধীন হাজী সাবের আহমেদ টাইমার কোম্পানি লিমিটেড ও কুমিরা এলাকায় শাহনেওয়াজ মো. আলী চৌধুরীর মালিকানাধীন নেমসান কনটেইনার লিমিটেড। যেগুলোর একটিতেও স্ক্যানার মেশিন নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো এসোসিয়েশনের (বিকডা) সভাপতি নুরুল কাইয়্যুম খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য স্ক্যান হয়েই তো জাহাজে উঠছে। স্ক্যানার বসিয়ে কাজ চালু করলে কয়েকটি ডিপো ছাড়া বাকিগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ ডিপোগুলোর কাজের গতি কমে যাবে। স্ক্যান করে করে গাড়ি ঢুকাতে বা বের করতে গেলে রাস্তায় হাজার হাজার গাড়ি আটকা পড়বে। পাশাপাশি রফতানি পণ্য যথাসময়ে শিপমেন্ট করা সম্ভব হবে না। পোশাক কারখানা মালিকরাও ক্রেতা হারাবে।
ডিপো নীতিমালার বিষয়ে প্রশ্ন তুললে তিনি বলেন, একটা স্ক্যানার কিনতে ১৫ কোটি টাকা লাগবে। আমি খরচ করলাম, কিন্তু এ টাকা আমি কার কাছ থেকে তুলবো। তখন একটা সমস্যা তৈরি হবে। বড় ডিপোগুলো ৪৫ একর জায়গার উপর অবস্থিত। কিন্তু অধিকাংশ ডিপো ১০ থেকে ১৫ একর জায়গায় গড়ে উঠেছে। এগুলোতে স্ক্যানার বসলে যানজট বাড়বে, কাজের গতি কমবে। 
রফতানিকারকেরা কারখানা থেকে কাভার্ডভ্যানে পণ্য এনে ডিপোর ছাউনিতে রাখেন। সেখানে কাস্টমসের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া শেষে রফতানিকারকের প্রতিনিধিরা বিদেশি ক্রেতাদের প্রতিনিধি ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেন। ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাররা রফতানি পণ্য কনটেইনারে বোঝাই করে বন্দর দিয়ে জাহাজে তুলেন। এই প্রক্রিয়ায় কোন স্ক্যানার ব্যবহার না থাকায় রফতানিকারকরা অর্থ পাচারের সুযোগ পাচ্ছে।
তবে ডিপোর সার্বিক কার্যক্রমে স্ক্যানারের ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে জালিয়াতি কমে আসবে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা। ২০১৭ সালে তৎকালীন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল বেসরকারি ডিপোগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে ইয়ার্ড সম্প্রসারণ ও স্ক্যানার মেশিন বসানোর তাগিদও দিয়েছিলেন। বছরের পর বছর গড়ালেও সেদিকে নজর দেননি ডিপো মালিকরা।
কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, বন্দরে স্ক্যানার মেশিনের সংকট বেশ পুরনো। তবে ডিপোগুলোতে স্ক্যানার মেশিন বসানো হলে পণ্য ও পণ্যের পরিমাণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া সম্ভব হতো। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকলে অর্থ পাচারের প্রবণতাও কমে যেতো। তবে বার বার তাগিদ দেয়ার পরও ডিপো মালিকরা বিষয়টি আমলে নেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দার এক কর্মকর্তা জানান, অর্থ পাচারের পেছনে কাস্টমসেরও একটা দায় রয়েছে। আইন অনুযায়ী পণ্য কনটেইনারে ঢাকার পর তা জাহাজে ওঠার আগে যাচাই করার ক্ষমতা একমাত্র কাস্টমসের রয়েছে। কিন্তু রফতানি পণ্য যথাসময়ে জাহাজে তুলতে ও কাজের চাপ থাকলে অনেক সময় তারা কনটেইনারে থাকা পণ্য যাচাই করে দেখে না। ফলে অর্থ পাচারের সুযোগটা তৈরি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে স্বল্প মূল্যের গার্মেন্টস পণ্য রফতানির আড়ালে গত আড়াই বছরে পাচার হওয়া অর্থের বিষয়ে তথ্য দিয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। সে প্রতিবেদনে ঢাকা-চট্টগ্রামের ১৯টি প্রতিষ্ঠান ১৪৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাচার হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এরমধ্যে চট্টগ্রামের নাজাফ ট্রেডিং ১৯টি চালানে এক লাখ ৯ হাজার ৫০১ ডলার পণ্য আছে বলে কাগজে উল্লেখ করে। অথচ এই চালানের প্রকৃত মূল্য ছিল ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ ডলার। প্রতিষ্ঠানটি গতবছর পণ্য রফতানির আড়ালে ৭ কোটি ১০ লাখ ১১ হাজার ২১১ টাকা দুবাইতে পাচার করেছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামের তাবাসসুম ইন্টারন্যাশনাল ছয়টি চালানে ৬৬ হাজার ৬০১ ডলারের পণ্য রয়েছে বলে কাগজে উল্লেখ করে। মূলত প্রতিষ্ঠানটি ১ লাখ ২১ হাজার ৮৫১ ডলার পণ্য রফতানি করে ৫৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪৫ টাকা পাচার করে।
চট্টগ্রাম ছাড়াও ঢাকার ১৭টি প্রতিষ্ঠান একই অনিয়ম করেছে। এরমধ্যে ঢাকার টোটাল কোয়ালিটি কো¤পানি তিনটি চালানের আড়ালে ৭ কোটি ৮৯ লাখ ১ হাজার ৮৮২ টাকা, সেফ ফ্যাশন এন্ড ট্রেডিং ৫০টি চালানের আড়ালে ১৫ কোটি ৯৮ লাখ ১৫ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা, জোবায়ের ট্রেডিং ১১টি পণ্য চালানের আড়ালে ৪ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৩৪ টাকা, মেঘনা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ১৩টি পণ্য চালানের আড়ালে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৫১২ টাকা, এমআাই ট্রেডিং নয়টি পণ্য চালানের আড়ালে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৭৪৭ টাকা, মারওয়া ট্রেয ইন্টারন্যাশনাল ১৪টি পণ্য চালানের আড়ালে ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার ২৮২ টাকা, কে মুড টেক্সটাইল ৩১টি পণ্য চালানের আড়ালে ১০ কোটি ২৯ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬ টাকা, তাহসিন ইন্টারন্যাশনাল ১৮টি পণ্য চালানের আড়ালে ৬ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার ৫৮১ টাকা, আল ফাহাদ ট্রেড লাইসেন্স চারটি পণ্য চালানের আড়ালে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৪ টাকা, এয়ার বাংলা ২৫টি পণ্য চালানের আড়ালে ৫ কোটি ২০ লাখ ৬২ হাজার ২৬৪ টাকা, জিএস খান অ্যাপারেলস ২২টি পণ্য চালানের বিপরীতে ৭ কোটি ৭১ লাখ ৮৫ হাজার ৭২১ টাকা, আমাজিন ফ্যাশন লিমিটেড আটটি পণ্য চালানের আড়ালে ২ কোটি ৯৭ লাখ ৭ হাজার ৪৮৮ টাকা, মাস্টার ইন্টারন্যাশনাল সাতটি পণ্য চালানের আড়ালে ২ কোটি ৯৮ হাজার ৭শ টাকা, ফ্যাশন কমফার্ট বিডি লিমিটেড ২৩টি চালানের আড়ালে ৮ কোটি ২৮ লাখ ৪৮ হাজার ১৬৮ টাকা, এ আইফা এন্টারপ্রাইজ ৩৯টি পণ্য চালানের আড়ালে ৩১ কোটি ১২ লাখ ৩৯ হাজার ৯০১ টাকা, ফাস্ট এক্সপোর্ট বিডি লিমিটেড ৪৬ পণ্য চালানের আড়ালে ১৬ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ২৯৯ টাকা ও জেডইই ফ্যাশন ৬০টি পণ্য চালানের আড়ালে ১৬ কোটি ৯৭ লাখ ৯১ হাজার ৩২৩ টাকা পাচার করে। সবগুলো চালানই ছিল পোশাক পণ্যের। এসব অর্থও দুবাইতে পাচার হয়েছে। তবে কাগজপত্র পুরোপুরি গুছিয়ে উঠতে না পারায় জড়িত সিএন্ডএফ এজন্টদের তালিকা দিতে পারেনি কাস্টমস গোয়েন্দা।
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন পরিচালক খায়রুল আলম সুজন এ প্রসঙ্গে বলেন, মানুষের তো বেসিক ধারণা থাকে। একটা কনটেইনারে করে কি পরিমাণে পণ্য যেতে পারে। রফতানিকারক কতটুকু পণ্য পাঠাবেন তার ঘোষণা দিয়ে পণ্য পাঠান। একটা ৪০ ফুটের কনটেইনারে ২ হাজার ডলারের বেশি পণ্য পাঠানো যায় না। সেটা পোশাক বা অন্য কোন পণ্য হোক। এটা হচ্ছে কমন সেন্স। পাশাপাশি আইন অনুযায়ী, ডিপোতে স্ক্যানার মেশিন বসানোর বিধান রয়েছে। কাজেই ডিপাগুলোতে স্ক্যানার মেশিন বসালে কাস্টমস গোয়েন্দা বা অন্যান্য কর্মকর্তারা বেসিক ধারণা থেকে পণ্যগুলো যাচাই করে নিতে পারতেন।
তিনি আরও বলেন, কাস্টমস ও ডিপো সংশ্লিষ্টরা যদি কঠোরভাবে স্ক্যানিংয়ের বিষয়টি মনিটরিং করে ও কনটেইনার খুলে কাস্টমস পণ্য যাচাই করে তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা দমে যেতো। পাশাপাশি অসাধু সিএন্ডএফ এজেন্টদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
পোশাক কারখানা মালিকদের অর্থ পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএর প্রথম-সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, দুবাইতে যে পণ্য যায় সেগুলো ব্রান্ডের পণ্য না। ছোট ছোট কারখানা মালিকরা লোকাল ফেব্রিক্স দিয়ে বানিয়ে সেখানে বিক্রি করে। পণ্যের কমমূল্য দেখিয়ে কোন ব্যবসায়ী অর্থপাচারে লিপ্ত থাকলে তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তবে নিরাপত্তার খাতিরে ডিপোতে স্ক্যানার বসালে কাজের গতি কমে যাবে। এতে করে সময়ক্ষেণ হবে এবং আমরা বায়ার হারাবো। কাজেই সিদ্ধান্ত নিতে গেলে সবদিক বিবেচনা করে নিতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. ফাইজুর রহমান বলেন, পণ্য রফতানি প্রক্রিয়াকরণের অধিকাংশ কাজ ডিপোতে হয়। তাই সেখানে স্ক্যানার মেশিন বসানো অতি জরুরি। অথচ ডিপো মালিকরা সেদিকে কোন লক্ষ্য দিচ্ছেন না। পাশাপাশি বন্দরে স্ক্যানার সংকট রয়েছে। তাই অসাধু ব্যবসায়ীরা নানাদিক বিবেচনা করে চট্টগ্রাম বন্দরকে অর্থ পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছেন।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও সিএন্ডএফ এজেন্ট মিলে অর্থ পাচারে লিপ্ত হয়েছে। অতি স¤প্রতি আমরা তার প্রমাণ পেয়েছি। গত আড়াই বছরে ৪২৪টি চালানে পোশাক পণ্য রফতানির আড়ালে ১৪৭ কোটি টাকা দুবাইতে পাচার হয়েছে। আমরা কোন কোন সিএন্ডএফ এজেন্ট জড়িত রয়েছে তা দেখছি। পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত করে মানিলন্ডারিং আইনে আলাদা আলাদা মামলা করা হবে। তবে এ ধরনের কাজ বার বার হতে দেয়া যাবে না।
প্রতিনিধি/একেবি