নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ জুলাই ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আলাদা কোনো ওয়ার্ড নেই। শুধুমাত্র মেডিসিন বিভাগের তিনটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু কর্নার করা হয়েছে। এছাড়া শিশু রোগীদের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে একই ওয়ার্ডের ভেতর হওয়ায় ডেঙ্গু রোগীদের পাশাপাশি সাধারণ রোগীরাও থাকছেন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সার্বক্ষণিক মশারির ভেতর থাকার কথা বলা হলেও তারা মশারির ভেতর থাকতে চান না। হাসপাতাল থেকেই মশারি সরবরাহ করা হয় ডেঙ্গু রোগীদের। গরমসহ নানা অজুহাতে ডেঙ্গু রোগীরা মশারি তুলে রাখেন এবং বেশিরভাগ সময় মশারির বাইরে থাকেন। এতে ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে খোদ চমেক হাসপাতালও।
ঝুঁকির কথা স্বীকার করে চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আব্দুর সাত্তার বলেন, ঝুঁকি তো আছেই। কারণ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর অবশ্যই মশারির ভেতর থাকা উচিত। শুধু হাসপাতালে নয়, ঘরে থাকলেও। নয়তো ঘরের অন্য সদস্যরাও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে কামড়ানো কোনো মশা যাতে অন্য কাউকে কামড়াতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা করে চিকিৎসা দিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। কিন্তু সংকটের কারণে এখানে (হাসপাতালে) তো সে সুযোগ হচ্ছে না। তাই ওয়ার্ডের ভিতর হলেও যতটুক সম্ভব ডেঙ্গু রোগীদের এক পাশে রেখে চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
একই কথা বলেছেন নগরীর বেসরকারি মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোরশেদ চৌধুরী ও পার্কভিউ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম চৌধুরী। তারা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণের সচেতনতা বাড়ানোর কার্যক্রম পরিচালনা করার উচিত। হাসপাতালে আসা আক্রান্ত রোগীরাও দেখি এ বিষয়ে সচেতন নয়। তাছাড়া হাসপাতালেও ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা কোনো ওয়ার্ড নেই। ফলে আক্রান্ত রোগী থেকে ডেঙ্গুর জীবাণু অন্যদের মাঝে ছড়াতে পারে। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোও ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
আলাদা ওয়ার্ড করে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসানও। কিন্তু জায়গা সংকটের কারণে হাসপাতালে আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
প্রতিনিধি/একেবি